সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কেন্দ্রবিরোধী লড়াইয়ের তৃণমূল (TMC) ‘একলা চলো’ নীতিতেই আস্থা রাখছে। বিশেষত কংগ্রেসের হাত ধরা নিয়ে নিজেদের আপত্তির কথা সোচ্চারে জানাল বাংলার শাসকদল। শুক্রবার কালীঘাটে (Kalighat)গুরুত্বপূর্ণ মেগা বৈঠকের পর পার্টি লাইন ঠিক করে নিল তৃণমূল। কংগ্রেসের আচরণ ‘বিগ বসে’র মতো, এই অভিযোগ তুলে লোকসভার সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’ মানবে না তৃণমূল।
এদিন কালীঘাটে দলের জেলা সভাপতি, সভাধিপতি, বিধায়ক ও নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে ২ ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) বলেন, ”কংগ্রেস বিরোধীদের ডেকেছিল। কিন্তু তাদের বিগ বসের মতো আচরণ। তৃণমূল গান্ধী মূর্তির নিচে সংসদে নানা ইস্যুতে আমরা বিক্ষোভ করেছি। বলা হচ্ছে, রাহুল গান্ধী ক্ষমা না চাইলে বিজেপি সংসদ চালাতে দেবে না। আমরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে বলেছি, আমাদের বলতে দিতে হবে।”
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই পুরীতে জগন্নাথ দর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও সাক্ষাতের সম্ভাবনা]
এরপর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, ”বিজেপি চাইছে, রাহুলকে মোদির বিরোধী বানাতে। তাতে ওদের ভোটে লড়তে সুবিধা হবে। বিরোধী ভোট একজোট হবে না। আমরা এটার মধ্যে নেই। প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কোনও ভাবনা নেই। কিন্তু আগে লড়াই হবে, তৃণমূল কংগ্রেস একলা চলার ক্ষমতা রাখে। কংগ্রেসের সঙ্গে আমরা সমদূরত্ব রাখব, তেমনটা বলছি না। আমরা একসঙ্গে আওয়াজ তোলার কথা বলেছি। তারা নেতৃত্বের ভূমিকায় যেতে চায়। সেটা কীভাবে সম্ভব?” এদিন একই সুরে কথা বলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। তাঁর বক্তব্য, ”তৃণমূল কংগ্রেস একলা চলার ক্ষমতা রাখে। এটা হয় না যে, কংগ্রেস এখানে বিজেপি-সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলাবে। আবার দিল্লিতে যখন দরকার হবে, আমাদের সাহায্য চাইবে। এটা হয় না।”
[আরও পড়ুন: গান্ধী পরিবারকে অপমান! খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস কংগ্রেসের]
শুক্রবার দুপুরে এই বৈঠকের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সংসদ নিয়ে খোঁজখবর নেন। লোকসভার সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করেন সংসদ কেমন চলছে। তিনি জানান, বিজেপিই সংসদ চলতে দিচ্ছে না। উল্লেখ্য, সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে তৃণমূল ‘একলা চলো’ নীতিই নিয়েছে। নানা ইস্যুতে এককভাবে কর্মসূচি পালন করছে। এমনকী কংগ্রেসের ডাকা বৈঠককেও তেমন গুরুত্ব দেননি তৃণমূল সাংসদরা। সেই নীতিতেই স্থির রেখে পার্টি লাইন ঠিক হল কালীঘাটের বৈঠকে।