স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে গত দু’বছরে কোনও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। এনসিআরবির (NCRB) রিপোর্টে যে তথ্য আছে, সেই তথ্যই ঠিক। রাজ্য বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে জানালেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। এ নিয়ে বিজেপির অভিযোগও খণ্ডণ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইন এ সংক্রান্ত একটি তথ্যে জানা গিয়েছিল ২০২১ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরে ১২২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। সেই তথ্য এদিন বিধানসভায় তুলে ধরে খড়্গপুরের বিজেপি (BJP) বিধায়ক হিরণ বলেন, এনসিআরবির রিপোর্টে লেখা ওই বছর কোনও কৃষকের মৃত্যু হয়নি। অথচ, আরটিআই (RTI) বা তথ্য জানার অধিকার আইনের বলে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই ১২২ জন কৃষক (Hiran Chatterjee) আত্মহত্যা করেন বলে জানা যায়। দুই রিপোর্টে এত বড় ফাঁক কেন?” এর প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিশন বসিয়ে এর তদন্ত দাবি করেন হিরণ।
[আরও পড়ুন: পার্থর আপ্তসহায়কের চেম্বারে SSC কমিটির বৈঠক কেন? জানতে ধৃতদের দফায় দফায় জেরা সিবিআইয়ের]
জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন,”এই তথ্য পেয়ে আমরা পালটা তদন্ত করিয়েছি। জানতে পেরেছি, আরটিআইতে পাওয়া তথ্য ভুল।’’ আরটিআইয়ের জবাবে সে সময় যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল, তা ওই জেলার তৎকালীন ডেপুটি পুলিশ সুপার দিয়েছিলেন। সেই রিপোর্ট পেয়ে নড়েচড়ে বসে কৃষি দপ্তর। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘রাজ্য ফসলের ক্ষতির জেরে যে হারে ক্ষতিপূরণ দেয়, তাতে আত্মহত্যার মতো ঘটনা অস্বাভাবিক। সেখানে এই সংখ্যা তো মারাত্মক। আমরা স্বাভাবিকভাবেই খোঁজ করি। জানা যায়, তথ্যটি ভুল।’’ মন্ত্রীর কথায়, ‘‘হয়তো তৎকালীন ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রশ্নটি বুঝতে না পেরে মৃত্যুর কোনও তথ্যের সঙ্গে আত্মহত্যার তথ্য গুলিয়ে ফেলেন। ২০২১ সালে ১২২ জন আর ২০২২ সালে ৩৪ জনের আত্মহত্যার তথ্য দেন। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। জেলার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ সুপারও (Deputy Police Super) সে কথা জানান। গত দু’বছরে এ রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যা করেননি।’’
[আরও পড়ুন: সল্টলেকে বিজেপির দুর্গাপুজোয় মহিলা পুরোহিত, আসতে পারেন নাড্ডা-শাহ]
বিধানসভায় হিরণ কৃষক আত্মহত্যার তথ্য তুলে ধরে শাসকদলকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সরকার পক্ষ জানিয়ে দিল সেই তথ্যই ভুল। তাই অস্বস্তির কোনও প্রশ্নই নেই।