দিপালী সেন: কলকাতার পর এবার বিধাননগর। বিধাননগর পুরনিগমের আওতাধীন এলাকায় হুক্কা বার বন্ধের আরজি জানিয়ে সিপিকে চিঠি পাঠালেন চেয়ারম্যান। যুব সমাজের স্বার্থে দ্রুত পদক্ষেপের আরজি জানিয়েছে তিনি।
কলকাতার বিভিন্ন হুক্কা বারে (hookah bars) হুক্কার সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। এধরনের প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছিল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) কাছে। সেই কারণেই তিলোত্তমায় হুক্কা বারের অনুমতি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত শনিবার ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচির শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, নতুন কাউকে হুক্কা বার খোলার অনুমতি তো দেওয়া হবেই না, পাশাপাশি যে সমস্ত বারের হুক্কা পাওয়া যায়, তাদেরও যত শীঘ্র সম্ভব হুক্কা বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দুবাইতে চোখের চিকিৎসা ভাল হয় না’, হাই কোর্টের বিচারপতির ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে শোরগোল]
শুধু কলকাতা পুরসভা এলাকা নয়, বিধাননগর পুরনিগম এলাকায় হুক্কা বার বন্ধ করতে উদ্যোগী হলে চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। সোমবার বিধানগরের পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠান সব্যসাচী দত্ত। লেখেন, “কলকাতার মতোই বিধাননগর পুরনিগম এলাকার সমস্ত হুক্কা বার অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া উচিত। আমরা আর নতুন করে কোনও বারকে লাইনসেন্স দেব না। এবং পুরনো যাদের বর্তমানে লাইসেন্স রয়েছে তা মেয়াদ ফুরনোর পর রিনিউ করাও হবে না।” কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যুব সমাজের উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে এই হুক্কা বার। কমিশনারকে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপের আরজিও জানানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দ্রুতই বিধাননগর এলাকায় বন্ধ হয়ে যাবে হুক্কা বার। আসলে হুক্কা বারে ভিড় জমান কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই হুক্কার সঙ্গে মাদক বা ড্রাগ মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে যুবসমাজ। এই বিষয়টিকেই শক্ত হাতে রোধ করতেই হুক্কা বার বন্ধের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত।