ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে (Swasthya Sathi) সামনে রেখে এক শ্রেণির নার্সিংহোম রোগী ঠকানোর ফাঁদ পাতছে। এইসব নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। স্বাস্থ্যদপ্তরের সিদ্ধান্ত খানিকটা স্বস্তি দিয়েছে আমজনতাকে।
বুধবার নার্সিংহোম সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্বাস্থ্য কর্তারা। স্বাস্থ্যভবনের পর্যবেক্ষন, বেশ কয়েক ডজন নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে। বেশিরভাগ অভিযোগ চিকিৎসা বিল নিয়ে। কয়েকটি নার্সিংহোম আবার প্যাকেজের মধ্যে আসতে চাইছে না। কারণ, প্যাকেজের মধ্যে এলেই প্রতিটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব দিতে হবে। কেন ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করতে হল তাও স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: রাজ্যের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরল ১৬ লক্ষের গণ্ডি, একদিনে মৃত ১৫]
নার্সিংহোম সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার পর স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “রোগী স্বার্থে পরিষেবা দিতে হবে নার্সিংহোমকে। যে বিষয়ে চিকিৎসা হবে সেই রোগের বিশেষজ্ঞ থাকতেই হবে। রোগী অনুপাতে নার্স কত তাও ঠিক করে দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। অন্তত পাঁচজন রোগী পিছু একজন নার্স থাকবেন। এই নিয়ম অবশ্যই বলবৎ করতে হবে।”
রাতে রোগীর জরুরি প্রয়জনে অন্তত একজন এমবিবিএস ডিগ্রি প্রাপক চিকিৎসক থাকতে হবে বলে স্বাস্থ্য ভবনের অভিমত। কিন্তু বেশকিছু নার্সিংহোমে কিন্তু এই ব্যবস্থা নেই। অজয়বাবুর বক্তব্য, প্রয়োজনে নার্সিংহোমে আচমকা পরিদর্শন করা হবে। রোগী ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে জানা হবে।