ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: রাতের অগ্নিকাণ্ডের রেশ রইল সকালেও। শুক্রবার সকালেও থমথমে পরিবেশ মাল্টিসুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে (SSKM)। জরুরি বিভাগের আগুন লেগে বেশ কিছু বহুমূল্য যন্ত্র নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা। তবে তা পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে। জরুরি বিভাগের স্ক্যানার, ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন, এমআরআই, ইউএসজির যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা হবে বলে এসএসকেএম সূত্রে খবর। রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যসচিব (Chief Secreatry) এইচ কে দ্বিবেদী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যসচিব ফরেনসিক তদন্তের (Forensic Investigation) নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আগুন লাগে। চারতলা বাড়ির দোতলায় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ওই এলাকার গোটাটাই এসি নিয়ন্ত্রণে। ফলত দ্রুত গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। অগ্নিসংযোগের (Fire) ঘটনা দেখেই স্বাস্থ্যকর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীরা দ্রুত অন্তত ২০ জন রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, পটকা ফাটার মতো শব্দ হয়। তারপরই আগুন দেখা যায়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। হাসপাতালে দমকলের চারটি ইঞ্জিন সবসময় কাজের জন্য প্রস্তুত থাকে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই তা কাজ শুরু করে। একাংশের বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। আগুন নেভাতে কাজে নামে আরও পাঁচটি ইঞ্জিন। এমারজেন্সি বিভাগে শর্ট সার্কিট (Short Circuit)থেকে আগুন লাগে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। দ্রুত হাসপাতালের কর্মীরা তাঁদের ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ড এবং ট্রমা কেয়ার সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: জগদীপ ধনকড়ের পর বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস]
খবর পেয়ে এসএসকেএমে পৌঁছে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। পৌঁছন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। তাঁরা কথা বলেন দমকল ও পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে। যদিও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু কলকাতার বাইরে থাকায় তিনি ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি। রাত এগারোটা নাগাদ আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কীভাবে ঘটল, এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখবে। পাশাপাশি পুলিশ ও দমকলও আলাদা করে তদন্ত করবে। এছাড়া মুখ্যসচিব দ্বিবেদী ফরেনসিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর। প্রায় ছ’ বছর পর এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসনিক মহলও।