অর্ণব আইচ: জোড়াসাঁকোয় (Jorasanko) ঝুপড়িবাসী প্রৌঢ়া খুনের ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য। স্টোনম্যানের কায়দায় হলেও কী দিয়ে খুন করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। কারণ, সোমবার মহাজাতি সদনের আশপাশে তল্লাশি চালালেও মেলেনি কোনও রক্তমাখা ইট, পাথর বা অস্ত্র। সেই ক্ষেত্রে কোনও লোহার রড দিয়ে মহিলার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল, এমন সন্দেহও পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে মহাজাতি সদনের পাশে, পুলিশ কিয়স্কের পিছনে ঝুপড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় জয়বান বিবি নামে এক প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকরা পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত আড়াইটার থেকে ভোর সাড়ে তিনটার মধ্যে হয়েছে এই খুন। কোনও ভারী বস্তু দিয়ে তাঁর মাথায় এমনভাবে আঘাত করা হয় যে, তাঁর খুলির হাড় ভেঙে যায়। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ মহিলার দ্বিতীয় স্বামীকে আটক করা হয়। কারণ, সম্প্রতি টাকা-পয়সা নিয়ে দুজনের মধ্যে গোলমাল বেঁধে ছিল। যদিও ওই ব্যক্তি রাত থেকে সকাল পর্যন্ত জোড়াসাঁকো এলাকায় ছিলেন না বলে দাবি করেছেন। সেই তথ্য পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে একলাফে অনেকখানি কমল করোনা টেস্ট, বড়দিনের আগে বাড়ল উদ্বেগ]
এদিকে, এই ঘটনার পর রাতে পুলিশ কিয়স্কে পুলিশকর্মীদের মোতায়েনের বিষয়টি নিয়েও ভাবনা চলছে। ঝোপের ভিতর থেকে উধাও হয়েছে মহিলার মোবাইল ফোন। ট্রাংক থেকে কিছু টাকাও সরানো হয়েছে, এমনই অভিযোগ। সেই ক্ষেত্রে আশপাশের কোনও মাদকাসক্ত যুবক অথবা কোনও পরিচিত টাকার লোভে তাঁকে খুন করতে পারে। ওই অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে কোনও অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। অর্থাৎ খুনি অস্ত্রটি সরিয়ে রেখেছে, এমন হওয়াও সম্ভব। এদিন এই খুনের ঘটনায় তদন্তে পুলিশ এলাকার তিনটি সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে। তাতে ঝুপড়ি থেকে কিছু দূরে কয়েকজনকে দেখা গিয়েছে। যদিও তাদের মধ্যেই কেউ খুন করেছে, এ ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত নয়। তদন্তের স্বার্থে এলাকার কয়েকজন যুবককে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।