অর্ণব আইচ: বড়দিনের ছুটির আগেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়া শহরে। চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, সায়েন্স সিটি ছাড়াও রয়েছে পার্ক স্ট্রিটের রকমারি রেস্তরাঁ। বেরিয়ে না হয় পড়া হল। কিন্তু গাড়ির পার্কিং হবে কোথায়? তাই জায়গা বুঝে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক করে রেখে বেরিয়ে যাচ্ছেন বহু শহরবাসী। আর তাতেই সৃষ্টি হয়েছে সমস্যা।
ট্রাফিকের এক কর্তা জানান, গত দুসপ্তাহে কলকাতায় যত ট্রাফিক মামলা হয়, তার এক তৃতীয়াংশ মামলা বেআইনিভাবে গাড়ি পার্কিং করার অভিযোগে। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় পার্কিংয়ের নিয়ম লঙ্ঘন করায় ২১ হাজার ৪৮৯টি গাড়িকে জরিমানা করা হয়। সেখানে পরের সপ্তাহে এই একই অভিযোগে ট্রাফিক মামলার সংখ্যা আরও অনেক বেশি বেড়ে যায়। ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৬ হাজার ১৩৫টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। শুধু বেআইনি পার্কিংয়ের অভিযোগে এই মাসে ৪৭ হাজার ৬২৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাই বড়দিনের (Christmas) আগেই কলকাতায় পার্কিং নিয়ে বিশেষ স্ট্র্যাটেজি পুলিশের।
[আরও পড়ুন: সল্টলেকের ইডি দপ্তরে পি সি সরকার জুনিয়র, চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ]
বড়দিন থেকে শুরু করে বর্ষবরণে কলকাতা ও বাইরে থেকে আসা মানুষের গন্তব্য হয়ে ওঠে পার্ক স্ট্রিট (Park Street)। রংবেরঙের সাজপোশাক পরে এই ‘সাহেবি রাস্তায়’ ঘোরাঘুরি করা রয়েছেই। তার উপর পার্ক স্ট্রিটের বড় আকর্ষণ রেস্তরাঁ ও পানশালা। আর বড়দিনে অ্যালেন পার্কের গানবাজনার আসরেও যোগ দিতে আসেন শহরের বহু বাসিন্দা। ট্রাফিক পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, যাঁরা বাস বা মেট্রো করে পার্ক স্ট্রিটে আসবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় না। কিন্তু গাড়ি করে এলে তা পার্কিং করা নিয়েই সমস্যা হয়। কিন্তু পার্ক স্ট্রিট বা তার আশপাশের রাস্তায় বড়দিন বা বর্ষবরণের উৎসবে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হলে বিপুল সংখ্যক মানুষেরও যাতায়াত করার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তার উপর ভিড়ের চাপ এড়াতে বড়দিন ও বর্ষবরণে সন্ধ্যার পর থেকেই মানুষের ভিড় বুঝে পার্ক স্ট্রিট ‘ওয়াকিং বে’ করে দেওয়া হয়।