গৌতম ব্রহ্ম: করোনা সংক্রান্ত নানা খবর নিয়ে সবাই যখন চিন্তিত, ঠিক তখন সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে শুয়ে শারীরিক কষ্ট ভোগ করছিলেন দমদমের বাসিন্দা। চেয়েছিলেন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে। কিন্তু ভাবনার সঙ্গে মিলল না বাস্তব। পরিবর্তে সোমবার দুপুরে করোনা আক্রান্ত ওই রোগীর প্রাণহানি হয়। মৃত্যু সংবাদ শোনার পর থেকেই চোখের জলে ভাসছেন এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা তাঁর স্ত্রী, মা এবং শাশুড়ি। এই পরিস্থিতিতে কে ওই বৃদ্ধের শেষকৃত্য করবেন, তা নিয়ে চলছে জোর ভাবনাচিন্তা।
করোনায় মৃত দমদমের ওই বাসিন্দার নিজের বলতে রয়েছেন মা, স্ত্রী, ছেলে এবং শাশুড়ি। করোনা আক্রান্ত প্রথম মৃত ওই ব্যক্তির ছেলে গবেষণা করছেন ফিলাডেলফিয়ায়। ফলে তিনি বাড়ি থেকে রয়েছেন অনেক দূরে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তার ফলে বিমানে চড়ে বাবার শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য ইচ্ছা থাকলেও কলকাতায় ফেরা কার্যত অসম্ভব। অন্যদিকে, করোনার শিকার হওয়া ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় তাঁর স্ত্রী, মা এবং শাশুড়িকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাঁরা আদৌ সংক্রামিত কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য তাঁদের লালারস নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও আসেনি পরীক্ষার রিপোর্ট। তাই তাঁদেরও সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা এড়ানো যাচ্ছে না। এখন কে ওই প্রৌঢ়ের সৎকার করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
[আরও পড়ুন: আশঙ্কা বাড়িয়ে রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, দেশে মৃত বেড়ে ১০]
বাঙ্গুর হাসপাতালে ভরতি থাকা প্রৌঢ়ের স্ত্রী, মা এবং শাশুড়ি তাঁর দেহ সৎকার করতে চান। কিন্তু তাঁদের হাতে কীভাবে আদৌ দেহ দেওয়া হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। ইতিমধ্যেই সে বিষয়ে নবান্নের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। বাঙ্গুর হাসপাতালের সুপার ডঃ শিশির নস্কর নোডাল অফিসার ডঃ সুদীপ্ত ভাদুড়ি এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে একথা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেই অনুযায়ী সৎকার করা হবে।
The post পরিজনেরা আইসোলেশনে, করোনায় মৃত দমদমের প্রৌঢ়ের সৎকার করবে কে? appeared first on Sangbad Pratidin.
