সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশি রাশি টাকার বান্ডিল। বিদেশি মুদ্রা, সোনাদানার পরিমাণও কম নয়। একেই তো এসএসসি মামলায় জড়িত সন্দেহে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা গুনতে হিমশিম দশা ইডির। তারউপর রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) পাঠানো ট্রাঙ্কে সেই টাকা ভরতি করতে করতে ক্লান্ত কর্মীরা। শোনা যাচ্ছে, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ২১ কোটি টাকা নিয়ে যেতে ৪০ টি ট্রাঙ্ক পাঠিয়েছে আরবিআই। ৫০০ টাকা, ২০০০ টাকা, ১০০ টাকা ও সোনার গয়না বোঝাই করা হয়েছে সেসব ট্রাঙ্কে। সাতটি নোট গোনার মেশিনের সাহায্য নিয়ে টাকা গোনার কাজ চলে দীর্ঘক্ষণ। শনিবার সন্ধে নাগাদ সেসব টাকার চুলচেরা হিসেব নেওয়ার পরই অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে গ্রেপ্তার করল ইডি। তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় হাত তুলে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ”আমি কোনও অন্য়ায় করিনি, সব বিজেপির চাল।”
সূত্রের খবর, ২১ কোটি টাকার মধ্যে বেশিরভাগটাই ২০০০ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট। শুক্রবার ইডি আধিকারিকরা টালিগঞ্জের (Tollyganj) ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে এত বিপুল টাকা উদ্ধার হওয়ায় সেদিনই কাজের সুবিধার্থে তিনটি নোট গোনার মেশিন আনা হয়েছিল। রাতভর গুনেও শেষ করা যায়নি। পরে মেশিনের সংখ্য়া আরও বাড়ানো হয়। শনিবার বিকেল পর্যন্ত সেই টাকা গোনার কাজ চলেছে বলে খবর। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকার সোনাও।
[আরও পডুন: রণবীরের মতো নগ্ন ফটোশুটে কতটা স্বচ্ছন্দ্য টলিপাড়া? যা বললেন রাহুল, শিলাজিৎ, শ্রীলেখা]
সূত্রের আরও খবর, অর্পিতার বাড়ির যেখান থেকে এই বিপুল অঙ্কের টাকা পাওয়া গিয়েছে, তার আশেপাশেই মিলেছে কিছু খাম। তাতে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সিল রয়েছে। এসএসসির বেশ কিছু অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। কীভাবে এসব নথি অর্পিতার কাছে এল, তাঁর সঙ্গে এসএসসি দপ্তরের কাগজপত্রের আদৌ কী যোগ, সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডির প্রাথমিক অনুমান, এর জাল আরও বহুদূর বিস্তৃত। অর্পিতাকে জেরা করলে তা স্পষ্ট হতে পারে। শুক্রবার থেকে টাকা গোনার পাশাপাশি অর্পিতাকে জেরাও করছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাতে তাঁর বয়ানে বেশ কিছু অসংগতি ছিল বলে ইডি সূত্রে খবর। তাই তাঁকে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার ভাবনা রয়েছে তদন্তকারীদের।