সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৬২ দিনের মাথায় নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বিচার শেষ করে দোষীকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার জয়নগরের ঘটনায় বারুইপুর আদালত সাজা ঘোষণার পর প্রশংসিত রাজ্য পুলিশ। তাদের সক্রিয়তার কারণেই নজিরবিহীনভাবে এত কম সময়ের মধ্যে বিচার শেষ করা সম্ভব বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল। আর এই সাজা ঘোষণার পর নিজেদের মেয়ের সুবিচার নিয়ে আশার আলো জ্বলে উঠেছে অভয়ার মা-বাবার মনেও। শুক্রবার জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিলে অংশ নিয়ে তাঁরা জানালেন, ''অনেকটা ভরসা পাচ্ছি, আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।''
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শুক্রবার মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত মিছিল ছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের। তাতে অংশ নেবেন বলে আগেই জানিয়েছিল পানিহাটির নিহত চিকিৎসকের পরিবার। সেইমতো বিকেলে মিছিলে হাঁটতে দেখা গেল অভয়ার মা-বাবাকে। দ্রুত বিচারের দাবিতে এই মিছিলে হাঁটলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদাররাও। এতদিনেও বিচার প্রক্রিয়ায় তেমন অগ্রগতি নেই বলে অভিযোগ তুললেন তাঁরা।
অভয়ার দ্রুত বিচারের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
একইদিনে জয়নগরের কুলতলির নাবালিকাকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দোষীর মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা হয়েছে। তা নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখিয়েছে আর জি করের নির্যাতিতার মা-বাবাকে। এই মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই অভয়ার মা বললেন, "কুলতলির শাস্তির ঘটনায় অনেকটা ভরসা পাচ্ছি। আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। মেয়ের খুনের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছি। আশা করি খুনিরা শাস্তি পাবেই।" এদিন জয়নগরের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী খানিকটা আক্ষেপের সুরেই জানিয়েছেন, আর জি করের ঘটনার পর একমাস সময় দিলে হয়ত অভয়ার বিচারও সম্পন্ন হয়ে যেত দ্রুত। এনিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমেরও বক্তব্য, "এই ঘটনা আবার প্রমাণ করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখায় কুলতলির খুনি ধর্ষক শাস্তি পেল। এমনভাবে যদি জুনিয়র ডাক্তার এবং অভয়ার মা-বাবা ভরসা রাখতেন, তবে এতদিনে আসল খুনি-ধর্ষক ধরা পড়ত, শাস্তিও পেত।''