অর্ণব আইচ: ফের রবিনসন কাণ্ডের ছায়া গড়ফায় (Garfa)। বাবার পর মায়ের দেহও আগলে বসে রইল যুবক! ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। চিকিৎসার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে যুবককে।
জানা গিয়েছে, গড়ফা থানা এলাকার কেপি রায় লেনের বাসিন্দা ছিলেন সংগ্রাম দে। স্ত্রী অরুণা ও ছেলে কৌশিককে নিয়ে থাকতেন তিনি। গত নভেম্বরে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় সংগ্রামবাবুর দেহ। এরপর থেকে কেপি রায় লেনের বাড়িতে থাকতেন অরুণাদেবী ও ছেলে কৌশিক। সূত্রের খবর, অরুণাদেবী পক্ষাঘাটগ্রস্ত ছিলেন। আর কৌশিক আংশিকভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন। তা সত্ত্বেও বাবার পেনশন আনা-সহ বাড়ির বেশ কিছু কাজ তিনিই করতেন। পাশাপাশি প্রতিবেশীরা সাধ্যমতো খাবার দিতে সাহায্য করত।
[আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপিতে ডামাডোল অব্যাহত, দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে লকেট]
এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রায় সাতদিন ধরে দে-বাড়িতে আলো বিশেষ জ্বলছিল না। সাড়া শব্দও মিলছিল না কারও। তাতে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। সেই কারণেই সোমবার পুলিশ খবর দেওয়া হয়। গড়ফা থানার আধিকারিকরা গিয়ে দেখেন, দরজা বন্ধ। কোনও ক্রমে ঘরে ঢুকতেই চক্ষুচড়কগাছ। তাঁরা দেখেন, বিছানায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধার দেহ। তাতে পচন ধরেছে। পাশেই রয়েছেন কৌশিক। প্রথম পুলিশ আধিকারিকরা বুঝতে পারেননি ওই যুবক জীবিত কি না। পরবর্তীতে কোনও ক্রমে উঠে বসেন তিনি। ইতিমধ্যেই বৃদ্ধার দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সংগ্রাম দে অর্থাৎ কৌশিকের বাবার দেহ উদ্ধার হয়েছিল একইভাবে। তিন মাস ধরে প্রতিবেশীরা ওই বৃদ্ধকে দেখতে পাননি। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। বৃদ্ধের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদেও কোনও সুস্পষ্ট উত্তর মেলেনি। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। গড়ফা থানার পুলিশকে জানিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশকর্মীরা গিয়ে দেখেন বিছানায় পড়ে রয়েছে বৃদ্ধের কঙ্কাল। পাশেই বসেছিলেন বৃদ্ধের ছেলে কৌশিক দে। একই বিছানায় শুয়েছিলেন বৃদ্ধের পক্ষাঘাতগ্রস্ত স্ত্রী-ও। এবার একই পরিণতি তাঁর স্ত্রীর।