সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্নাতকে ভরতির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এবার ‘বাংলা বিতর্কে’ জড়াল কলকাতার লরেটো কলেজ। দাবি, ভরতির (Loreto College Admission Notice) ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলা নয়, ইংরাজি মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলে তবেই ভরতির আবেদন করা যাবে কলেজে! এমনকী কেন ইংরাজিকে প্রাধান্য দিচ্ছে ওই কলেজ সেই বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে।
লরেটো কলেজের (Loreto College Kolkata) তরফে ভরতির এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। বাংলা কেন ব্রাত্য? সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে এই প্রশ্নে সরব হয়েছেন অনেকেই। বাংলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়েও কীভাবে এমন বিজ্ঞপ্তি এই কলেজ দিতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে জানতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন’।
[আরও পড়ুন: শোভনের নামেই সিঁদুর পরেন, কিন্তু বিয়েটা কবে? ফাঁস করলেন বৈশাখী]
তিনি জানান, “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরতি সংক্রান্ত নিয়মে এমন কিছুই নেই। এই ঘটনা কেন ঘটেছে, আদৌ ঘটেছে কি না, এখনই বলতে পারছি না। লরেটো কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।” উল্লেখ্য এই কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (CU) অধীন। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের (Pabitra Sarkar) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ‘সংবাদ প্রতিদিন’কে তিনি বলেন, “আগেও ওই কলেজ কর্তৃপক্ষ এমন বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কি না জানি না! কিন্তু যদি এমন হয় তাহলে তা মোটেও কাম্য নয়। যে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তার মাতৃভাষা বাংলা। তাহলে এমন কেন হবে!”
উল্লেখ্য, লরেটো কলেজে পড়াশোনার প্রধান মাধ্যম ইংরাজি। সেখানে লাইব্রেরি থেকে শুরু করে যাবতীয় পঠনপাঠন, প্রায় সবটাই হয় ইংরাজি ভাষায়। ঠিক এই পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়েই ভিন্ন মাধ্যমে পড়াশোনা করা পড়ুয়াদের ‘অসুবিধা’র কথা মাথায় রেখেই এমন বলা হয়েছে বলেও দাবি করছে কলেজ সূত্র। কোনওভাবেই বাংলা মাধ্যমে লেখাপড়া করলে ভরতি হওয়া যাবে না, একথা বলা হয়নি বলেই দাবি তাদের।
[আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: ছিল ১০০, হল ৫ হাজার! একলাফে বাড়ল স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা]
সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার অনেকে অভিযোগ করেছেন, লরেটো কলেজের নোটিসে বলা হয়েছে, অন্য মাধ্যম থেকে আসা কাউকেই ভরতি নেওয়া হবে না! অর্থাৎ বাংলা অথবা হিন্দি মাধ্যমের কোনও পড়ুয়া যদি লরেটো কলেজে পড়তেও চান, তাহলে তিনি পড়তে পারবেন না! সম্প্রতি এক বেসরকারি স্কুলের বাংলার শিক্ষিকার চাকরি যাওয়ার ঘটনার পর ফের কলকাতার এক নামী কলেজের বিরুদ্ধে এমন ‘বাংলা বর্জনে’র বিজ্ঞপ্তি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।