সুদীপ রায়চৌধুরী: ভাঙা রেকর্ডের মতো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির দাবিতে সুর চড়িয়ে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বস্তুত এই মুহূর্তে রাজ্যের বিরোধীদের একমাত্র অভীষ্টই হল অভিষেকের গ্রেপ্তারি। কিন্তু বিজেপির রাজ্য নেতারা যেখানে দিনরাত অভিষেকের গ্রেপ্তারির দাবিতে প্রাণপাত করছেন, সেখানে ঠিক তার উলটো কথা বলছে আরএসএস। সংঘের মুখপত্র ‘স্বস্তিকা’র প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এই মুহূর্তে অভিষেকের গ্রেপ্তারির দাবি অবান্তর।
আরএসএসের মুখপত্রে ‘অবোধের গোবধে আনন্দ’ শীর্ষক নিবন্ধে লেখক নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় বলছেন,”অনেকের কাছে অভিষেকবাবুর যেন তেন প্রকারে আটক যেন ইন্দ্রিয়সুখের শামিল। কেন তিনি আটক হবেন নির্দিষ্ট ভাবে তাঁরা জানেন না। বিষয়টি তদন্তকারী সংস্থার আওতাধীন। এটা কেবল তাঁদের ইচ্ছা।” অর্থাৎ ওই নিবন্ধে একপ্রকার ঘুরিয়ে বলা হয়েছে, তদন্তের গতিপ্রকৃতি না জেনেই বঙ্গ বিরোধী শিবির (পড়ুন বিজেপি) অনেকে অন্ধকারে ঢিল মারার মতো অভিষেকের গ্রেপ্তারির দাবি করে চলেছে।
[আরও পড়ুন: তিরন্দাজি ফাইনালে দুই ভারতীয়, সোনা ও রুপো নিশ্চিত টিম ইন্ডিয়ার]
ওই প্রতিবেদনেই লেখক বলছেন, “এটা ঠিক অনেকের কাছে মূল সমস্যা, অভিষেক কেন জেলের বাইরে? এটা অবান্তর চিন্তা। তদন্তকারীদের মতে গ্রেপ্তার তদন্তের একটি অংশ। পুরো তদন্ত নয়। মনে হয় এই একমুখী ভাবনা এখানকার বিরোধীদের সত্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখছে।”
[আরও পড়ুন: এশিয়ান গেমস: বক্সিং ফাইনালে পৌঁছলেন লভলিনা, প্যারিস অলিম্পিকেরও টিকিট পেলেন]
এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে স্বস্তিকা। মঙ্গলবার সে উপলক্ষে বেলুড় মঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সেই সময়ই এহেন বিতর্ক মাথা চাড়া দেওয়ায় নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক যে প্রবল অস্বস্তিতে, তা বলাই বাহুল্য। বিশেষত, নিবন্ধে সরাসরি তাঁর নাম করে লেখা হয়েছে, ‘‘ইডি সিবিআই নিয়ে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হতাশাকে তাই মান্যতা দিতেই হবে।’’ ঠিক তার একটু পরেই বলা হয়েছে, ‘বিরোধীদের ধারণা রাজ্যে এলাকা ভিত্তিক ৩৫৫ ধারা জারি কিংবা অভিষেকবাবুর গ্রেফতারি ছাড়া মমতাকে ধাক্কা দেওয়া অসম্ভব। দুটোই রাজনৈতিক ভাবে প্রয়োজন।’ এরপর লেখক আবার নিজেই বলছেন, ‘তবে আমার মনে হয় আটক বা গ্রেফতারির উপরবেশি গুরুত্ব না দেওয়াটাই রাজনৈতিকভাবে অনেক বেশি সমীচিন।’
