অভিরূপ দাস: তাদের দল মাঠে নেই। স্রেফ টিভির সামনে আছে। আর আছে চার দেওয়ালের মধ্যে। ফুটবল বিশ্বকাপকে (Football World Cup) ঘিরে বিপুল চাহিদা খেলনা ফুটবলের। টয় অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সম্পাদক অনির্বাণ গুপ্ত জানিয়েছেন, বাংলায় খেলনা ফুটবলের (Toy Football) বিক্রি দারুণ। এমনকী, অনেক ফুটবল খেলিয়ে দেশকেও পিছনে ফেলে দেবে পশ্চিমবঙ্গ। সাধারণত দু’ধরনের খেলনা ফুটবল বিখ্যাত। একটা হচ্ছে সকার টেবিল। অন্যটি হোভার ফুটবল।
কাঠের টেবিলে একের পর এক স্টিক বা লাঠি ঢোকানো থাকে। প্রতিটি লাঠিতে খেলোয়ারের মডেল আটকানো। থাকে একটা ছোট্ট খেলনা বল। লাঠি নাড়িয়ে নাড়িয়ে খেলোয়াড়দের চালনা করতে হয়। ছোট সকার টেবিলের দাম ২ হাজার ৪৯৯ টাকা। বড় আকৃতির একটা সকার টেবিল সাড়ে তিন হাজার টাকা। ফি মাসে দু’হাজার সকার টেবিল বিক্রি হয় বাংলায়। পূর্ব ভারতের বৃহত্তম খেলনা প্রস্তুতকারক সংস্থা ড. ম্যাডিস ইনোভেশন প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই সকার টেবিলের বিক্রি ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩ হাজারের অঙ্ক। ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে না হতেই হিড়িক পড়ে গিয়েছে সকার টেবিল কেনার।
[আরও পড়ুন: অধ্যক্ষ ঘেরাও মুক্ত হলেও মেডিক্যাল কলেজে অশান্তি অব্যাহত, দাবি না মানলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি]
এছাড়াও রয়েছে ঘরের মধ্যে খেলার হোভার ফুটবল (Hover Football)। চামড়ার বলের মতো ড্রাপ খায় না এই বল। চলে ব্যাটারির সাহায্যে। মাটি কামড়ে থাকে। এই বলের তলায় চাকার মতো অংশ রয়েছে। ফলে ঘরের মধ্যেই ফুটবল খেলা যায়। চারটে ব্যাটারি লাগে এই বল চালাতে। এহেন হোভার ফুটবলের বিক্রিও বেড়ে গিয়েছে মারাত্মক। দোকানে আনতে না আনতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে হোভার ফুটবল। বিক্রেতারা বলছেন, অধিকাংশ পরিবার ফ্ল্যাটে থাকে। আগের মতো খেলার মাঠ নেই পাড়ায় পাড়ায়।
[আরও পড়ুন: ‘মদত দিচ্ছে নকশালরা’, মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের]
হোভার ফুটবল ঘরের মধ্যেই খেলা যায়। আসবাবপত্র ভেঙে যাওয়ার ভয় নেই। বিক্রিও তাই তুঙ্গে। শেষ অক্টোবরে ১০ হাজার হোভার ফুটবল বিক্রি হয়েছে। ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হতে না হতেই তা চলে গিয়েছে ১৪ হাজারের অঙ্কে। ফুটবলে প্রাক্তন ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন দেবজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, বাঙালি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত। নতুন প্রজন্ম মাঠে না এসে মিম বানাচ্ছে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিক্রি বাড়ছে ইনডোর ফুটবলের (Indoor Football)।