অর্ণব আইচ: চারু মার্কেটের পরে এবার গার্ডেনরিচ। দেবীপক্ষের শুরুতেই কলকাতায় ফের শুটআউট। সপ্তাহের শুরুতেই, সোমবার সকালে গার্ডেনরিচে ডিসি পোর্টের অফিসের কাছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। জানা গিয়েছে, স্থানীয় মানুষ গুলির আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে ওই ব্যক্তির দেহ দেখতে পেয়ে পশ্চিম বন্দর থানায় খবর দেন তাঁরা। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। প্লাস্টিকে ঢেকে দেওয়া হয় ওই যুবকের দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের পাশ থেকে একটি রিভলভার এবং একটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। সেই ব্যাগের সূত্র ধরেই ওই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা চালায় পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম শ্রেষ্ঠ ধুরকা। তিনি হেস্টিংসের বাসিন্দা প্রদীপ ধুরকার ছেলে। হেস্টিংসের সেন্ট জর্জেস টেরেসের বাসিন্দা শ্রেষ্ঠ অবিবাহিত। তিনি বাবা-মার সঙ্গে থাকতেন ওই বাড়িতে। গত ছ'মাস ধরে ভবানিপুরের কাছে একটি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি। বাড়ি থেকেই ওই সংস্থায় কাজ করতেন শ্রেষ্ঠ, এমনটাই জানিয়েছে পরিবার।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে ওই যুবকের মাথায় গুলি লেগেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ওই যুবককে খুন করে তাঁর পাশে অস্ত্র ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতিরা। যাতে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা মনে হয়। অথবা ওই যুবক সত্যিই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। দুই ক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠছে, অস্ত্র এল কোথা থেকে? পুজোর সময়ে ভিন রাজ্য থেকে মহগানগরে অস্ত্র আমদানির বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, মহালয়ার সকালে খাস কলকাতার চারু মার্কেট এলাকার জিমে গুলি চলে। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে রেনকোট পরে দুই আততায়ী আচমকা ঢুকে যায় জিমে। অভিযোগ, মালিককে লক্ষ্য করে চালানো হয় দু'রাউন্ড গুলি। যদিও বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। তবে উৎসবের মরশুমে জনবহুল এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
