shono
Advertisement
Sovan and Ratna Chatterjee Divorce Case

রত্না-শোভন বিবাহবিচ্ছেদ মামলা: আলিপুর আদালতকে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ হাই কোর্টের

কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন রত্না।
Published By: Sayani SenPosted: 02:06 PM Feb 28, 2025Updated: 03:00 PM Feb 28, 2025

গোবিন্দ রায়: বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানি অযথা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন গ্রহণ নয়। আলিপুর আদালতকে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য। আলিপুর আদালতের বিচারকের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই দাবি হাই কোর্টের। এদিকে, কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন রত্না। শুক্রবার বিকেল চারটের মধ্যে ক্ষমার বয়ান হলফনামা আকারে দাখিলের নির্দেশ বিচারপতির।

Advertisement

শোভন-রত্নার দাম্পত্যে চিড় ধরে কয়েক বছর আগেই। আলিপুর আদালতে চলছিল তাঁদের বিচ্ছেদ মামলা। সেখানে রত্না আর্জি জানান, আরও কিছু লোকের সাক্ষ্য নেওয়া হোক। নিম্ন আদালত সেই আর্জি নাকচ করে দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রত্না। সেখানেই শোভনের হয়ে সওয়াল করছেন কল্যাণ। গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে জোরদার সওয়াল করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ‘প্রভাবশালী’ বলে কাঠগড়ায় তোলেন কল্যাণ। তাঁর দাবি, “রত্না শুধু ড্রামা করেন। তাঁর জন্যই নিম্ন আদালতে বিচ্ছেদ মামলা এগোচ্ছে না। সেখানে প্রভাব খাটাচ্ছেন বিধায়ক। বিচারক আদালতে আসতে বললেও আসেন না।” বিচারপতির উদ্দেশে‌ রত্না সম্পর্কে বর্ষীয়ান আইনজীবী আরও বলেন, “একজন বিধায়কের মুখের কী ভাষা জানেন না! সেটা আদালতে বলতে পারব না। স্বামী ব্যর্থ হলে, আদালতে আসুন। মামলা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন কেন। স্ত্রী হলেই কি অধিকার বেশি থাকতে হবে? যদি খুব বড় সাক্ষী হয়, তাহলে কেন সে সাক্ষ্য দিতে আসে না?”

শুধু রত্না নয়, একইসঙ্গে বেহালা পূর্ব বিধায়কের বাবা দুলাল দাসকেও একহাত নিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শুধু রত্না কেন, আমি এঁদের পরিবারের ইতিহাস-ভূগোল জানি। বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে পারেন আর আদালতে আসতে বললেই বলেন, ‘আমার ৭০ বছর বয়স। কীভাবে যাব?’ এদিকে উনি মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান।” তিনি আরও বলেন, "আরে আমি ৬৯ আর ওর বাবা দুলাল দাসের বয়স ৭০ বছর। তবে আমার থেকেও বেশি কালারফুল।" এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পালটা সংবাদমাধ্যমে জবাব দেন রত্না। সেই মন্তব্যকেই 'হুমকি' বলে দাবি করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ক্ষমাও চেয়ে নেন রত্না। শুক্রবার বিকেল চারটের মধ্যে ক্ষমার বয়ান হলফনামা আকারে দাখিল করার নির্দেশ হাই কোর্টের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানি অযথা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন গ্রহণ নয়।
  • আলিপুর আদালতকে দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য।
  • এদিকে, কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চাইলেন রত্না।
Advertisement