সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Baishakhi Banerjee) সিঁদুর পরার অধিকার দিয়েছেন তিনিই। ফেসবুক লাইভে এসে বলে দিলেন কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। সেই সঙ্গে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর আক্রমণ, বৈশাখীর সিঁদুর পরা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও অধিকার তাঁর নেই।
সোমবার শোভন-রত্নার ডিভোর্সের মামলার জন্য আদালতে গিয়েছিলেন তাঁরা। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী। তিনি আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) অহেতুক প্রচুর লোক নিয়ে আদালতে যাচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছেন। বৈশাখী দাবি করেন, অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা হচ্ছে তাঁর। সরাসরি নিশানা করেন বিধায়ককে। পালটা দিতে ছাড়েননি রত্না। তিনি বলেন, “ভয়ের কোনও কারণ নেই। উনি তো ছেলেধরা। কেউ ওনাকে কিছু করবে না।” প্রয়োজনে আরও বেশি লোক নিয়ে আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি। রত্না সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, “কেন সিঁদুর পরেন বৈশাখী? ওনার তো ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। নিজের মেয়েটাকে কেন বারবার আমার স্বামীর সন্তান বলে সব জায়গায় পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন?”
[আরও পড়ুন: অমরাবতী অতীত, অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন রাজধানীর নাম ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
স্ত্রীর সেই প্রশ্নবাণের মুখে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন একটি ভিডিওবার্তায় রত্নাকে আক্রমণ করে শোভন বলেন, “জেনে রাখুন, বৈশাখীকে সিঁদুর পরার অনুরোধ আমিই করেছিলাম। উপদেশ যদি কেউ দিয়ে থাকে তার নাম শোভন চট্টোপাধ্যায়।” বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক রত্নার উদ্দেশে প্রাক্তন মহানাগরিকের তোপ, “উনি বলেছেন বৈশাখী ছেলেধরা। কিন্তু ২২ বছর সংসার করার পর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা আমি করেছিলাম একটি কারণেই। ২২ বছর পর আমি বুঝতে পেরেছি, আমি একজন ছেলেধরার অভ্যাসে অভ্যস্ত মহিলার সঙ্গে বিয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছি।” এরপরই শোভনের স্পষ্ট ঘোষণা,”আমি যতদিন বেঁচে থাকব, বৈশাখী সিঁদুর এবং মঙ্গলসূত্র পরবেন।”
[আরও পড়ুন: ঝক্কির দিন শেষ, এবার ২৪ ঘণ্টাতেই মিলবে ড্রাইভিং লাইসেন্স!]
উল্লেখ্য, প্রায় বছর পাঁচেক আগে থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ডিভোর্সের মামলা চলছে। রত্নাদেবী স্পষ্টই বলে দিয়েছেন তিনি শোভনকে ডিভোর্স দেবেন না। আইনত তিনিই শোভনবাবুর স্ত্রী। এদিকে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। কিন্তু এর মধ্যেই ফেসবুকে বার্তা দিয়ে বৈশাখীকে একপ্রকার সিঁদুর পরার অধিকার দিলেন শোভন। সেটা আবার ‘আমার সুরক্ষাকবচ’ বলে পোস্ট করলেন বৈশাখী। তাহলে কি ঘুরিয়ে স্বীকৃতি পেয়ে গেল শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ক?