রমেন দাস: রাত হলেই ইন্টারভিউ! জুনিয়রদের ডেকে নিয়মিত হেনস্তা সিনিয়রদের! এবার আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলেই উঠল র্যাগিংয়ের অভিযোগ। মানিকতলা এলাকার প্রথম বর্ষের ছাত্রদের হস্টেলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি আর জি করেরই (RG Kar) দ্বিতীয় বর্ষের এক পড়ুয়ার! অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় অভিযুক্তদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি এবং তাঁর আরও এক সহপাঠী। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে উল্টোডাঙা থানায়। র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
ঠিক কী ঘটেছে? অভিযোগকারী এক ‘প্রতিবাদী’ চিকিৎসক পড়ুয়ার দাবি, প্রথম বর্ষের (২০২৫ ব্যাচ) জন্য বরাদ্দ হস্টেলে প্রায় জোর করে থাকেন দ্বিতীয় বর্ষের (২০২৪ ব্যাচ) কয়েকজন পড়ুয়া। তাঁরাই নাকি নিয়মিত ‘হেনস্তা’ করেন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের। অভিযোগ, এই ঘটনা জুনিয়রদের মুখে জানতে পেরে কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন দ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়া। এই বিষয়ে গত শনিবার বৈঠকেও বসেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের (RG Kar Hospital) শিক্ষক-আধিকারিকরা। বৈঠকে ডাকা হয় সব পক্ষকেই। সূত্রের দাবি, শনিবারের ওই বৈঠকের পর ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। অভিযোগ, দুই ‘প্রতিবাদী’ পড়ুয়াকে টার্গেট করেন অভিযুক্ত চিকিৎসক পড়ুয়াদের চারজন! তারপর কলকাতা স্টেশনের কাছে ওই দুই পড়ুয়াকে মারধর করা হয় বলে দাবি। এরপরেই উল্টোডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর।
র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠার পরে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস মিলেছে কর্তৃপক্ষের তরফে। কিন্তু শনিবার দুই ‘প্রতিবাদী’ ছাত্রকে হেনস্তার যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়েও এখনই কোনও পদক্ষেপে নারাজ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রের খবর, র্যাগিং মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ঘটেছে বলে দাবি, কিন্তু শনিবারের হেনস্তার অভিযোগ হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার বাইরের ঘটনা। তাই পুলিশের তরফে ব্যবস্থা এবং সেই সংক্রান্ত নিয়ম মেনে পুলিশকে সহযোগিতা ছাড়া আপাপত কর্তৃপক্ষ কিছু করতে পারে না বলেই দাবি ওই সূত্রের।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট হাসপাতালের মধ্যেই চিকিৎসক পড়ুয়ার নৃশংস খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় বিশ্ব। একের পর এক প্রশ্নের মুখোমুখি হয় পুলিশ-প্রশাসন। প্রতিবাদের দাবানলে কার্যত উত্তাল হয় রাজ্য। ফের এমন ধরনের ঘটনায় খবরের শিরোনামে আর জি কর হাসপাতাল।
