অর্ণব আইচ: রান্নাঘরের ছুরির আঘাতে আত্মঘাতী হলেন বাঁশদ্রোণির (Bansdroni) এক ছাত্র। মঙ্গলবার রাতে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেন রবীন দেবনাথ। অঘটনের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছেলের এভাবে মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা, মা। তাঁদের সঙ্গে ঝগড়া করেই রবীন আত্মঘাতী হয় বলে অনুমান পুলিশের। তাই তদন্তের স্বার্থে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে খবর।
উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষায় দু’বার অকৃতকার্য হয়েছিলেন। তৃতীয়বার পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বাঁশদ্রোণির প্রগতি পার্কের শিবম অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা বছর তেইশের তরুণ রবীন দেবনাথ। কিন্তু ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। সেইসঙ্গে সংসারে প্রবল আর্থিক অনটনও ছিল। সবমিলিয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল রবীনের। তারপর রাত ৯টা নাগাদ আচমকা রান্নাঘরে ঢুকে তিনি ছুরি নিয়ে নিজের পেটে আঘাত (Stab) করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান, পথেই মৃত্যু হয়েছে রবীনের।
[আরও পড়ুন: উসকে উঠল পুরনো সংঘাত, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতায় ফের ধারাবাহিক টুইট ধনকড়ের]
পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত বছর করোনা, লকডাউনের (Lockdown) জেরে কাজ হারিয়েছিলেন রবীনের বাবা সুশোভন দেবনাথ। তারপর থেকে তাঁর মা বাড়িতে সেবিকার কাজ করে কোনওক্রমে দিন গুজরান করছিলেন। এই কারণে সবসময় রবীনের বাবা-মায়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। কখনও কখনও ছেলের সঙ্গেও অশান্তি হতো তাঁদের। এদিকে, দু-দু’বার উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য হওয়ার পর তৃতীয়বার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে রবীন নিজেও মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সবমিলিয়ে, মঙ্গলবারের অশান্তিতে তাঁর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। নিমেষের মধ্যেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন বছর তেইশের যুবক। বাঁশদ্রোণি থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। যেহেতু বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার পরই আত্মঘাতী হয়েছেন রবীন, তাই তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।