অর্ণব আইচ: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra)। মঙ্গলবার তাঁকে ভারচুয়ালি আদালতে পেশ করার পরই গ্রেপ্তারির নথি আদালতে পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে সুজয়কৃষ্ণকে নিজেদের হেফাজতে চাইছে সিবিআই। এদিকে তাঁর তীব্র বিরোধিতা করেছেন কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী।
প্রাথমিকের মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তার করতে পারে, এই আশঙ্কায় আগেই হাই কোর্টে আগাম জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু। প্রোডাকশান ওয়ারেন্ট সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তা খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। তার ঠিক পরেরদিনই অন্য মামলায় সুজয়কৃষ্ণকে ভারচুয়ালি পেশ করা হয় আদালতে। সেখানেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে শোন অ্যারেস্ট দেখায় সিবিআই। বিরোধিতা করে কালীঘাটের কাকুর আইনজীবী বলেন, "ওনাকে আটকে রাখতেই এখন গ্রেপ্তার করতে চাইছে সিবিআই। ২৫ নভেম্বর ইডি মামলায় হাই কোর্টে জামিনের আবেদনের শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরই সিবিআই শোন অ্যারেস্ট দেখাচ্ছে। এতেই স্পষ্ট যে ওনাকে আটকে রাখতেই হেফাজতে চাওয়া হচ্ছে।"
পালটা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে । তদন্তের প্রয়োজনে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তলবও করা হয়েছিল। বহু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই সব নথি খতিয়ে দেখেই তদন্তের জন্য সুজয়কে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। সুজয়, শান্তনু, কুন্তলরা অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের কাছে থেকে ঘুষ নিয়েছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়। সিবিআইয়ের দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তালিকা পাঠিয়ে বেআইনিভাবে অনেকের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন সুজয়কৃষ্ণ।