সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। লেকটাউনের (Lake Town) দক্ষিণদাঁড়ি এলাকার ঘটনা। বাপের বাড়ির অভিযোগ, খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও গৃহবধূর স্বামী খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ। পালটা দাবি, আত্মহত্যা করেছেন স্ত্রী।
পায়েল রায় নামে ওই মহিলার বেশ কয়েকবছর আগে বিয়ে হয়। লেকটাউনের দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় থাকতেন তিনি। রবিবার পায়েলের শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাপের বাড়িতে জানায় ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে চিকিৎসকেরা জানান, মৃত্যু হয়েছে পায়েলের। গৃহবধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, তাঁকে সন্দেহ করত স্বামী। তার জেরে দাম্পত্য সম্পর্কের ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। পায়েলকে প্রায়শয়ই অত্যাচার করা হত। বেশ কয়েকবার স্বামী তাঁর গায়ে হাত তুলত বলেও অভিযোগ। বাপের বাড়ির দাবি, আত্মহত্যা নয়। খুন করা হয়েছে পায়েলকে। স্বামী, শ্বশুর এবং ননদের দিকেই মূলত অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, বিলাসবহুল গাড়ি পিষে মারল পথচারীকে]
যদিও স্বামী খুনের অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর পালটা দাবি, একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল পায়েলের। তা নিয়ে অশান্তি হয়। রবিবার সন্ধেয় শৌচাগারে গিয়েছিলেন পায়েলের স্বামী। তাঁর দাবি, শৌচালয় থেকে বেরনোর পর ঘরে পায়েলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি। স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলেই দাবি তাঁর।
খবর পেয়ে লেকটাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বধূর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। খুন নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ওই বধূর দেহের একাধিক জায়গায় আঁচড় ও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পায়েলের স্বামী, শ্বশুর ও ননদকে আটক করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের জেরা করে এই ঘটনা সম্পর্কে আরও নানা তথ্য হাতে আসবে বলেই আশা।