সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা চার্জশিটের কথা উল্লেখ করে বিস্ফোরক দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। প্রভাবশালী যোগের কথা বলেছেন তিনি। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি রাজ্য প্রশাসনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক বলেও দাবি তাঁর। শুভেন্দুকে পালটা জবাব দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আরও একবার বিজেপি বিধায়কের মানসিক সুস্থতাও কামনা করেন তিনি।
কুণাল ঘোষ বলেন, “শুভেন্দু অভিষেক (Abhishek Banerjee) ফোবিয়ায় ভুগছে। নাম নেওয়ার সাহস পেল না? ক’দিন ধরে বলে বেড়াচ্ছে এই করব সেই করব। আদ্যন্ত ‘তোলাবাজ’, ‘চোর’, ‘ডাকাত’। বিজেপি বিধায়কদের দেখে করুণা হচ্ছে। একজন দলবদলু ‘চোর’ সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত বলেছে বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও। যেখানে আদালত, ইডি, সিবিআই আছে সেখানে কেমন করে চার্জশিট নিয়ে বিধানসভায় বসে বিধায়ক সাংবাদিক বৈঠক করেন? নাম বলুক সাহস থাকলে। আমি ‘চোর’, ‘তোলাবাজ’ বলছি ওকে। চ্যালেঞ্জ করছি আমার নামে মামলা করো। দম থাকলে এই শব্দগুলো অভিষেকের নামের আগে বসাক।”
[আরও পড়ুন: ‘তুই ঠিক করার কে রে?’, রাস্তা সংস্কার নিয়ে মহিলা জেলাশাসককে বেলাগাম আক্রমণ দিলীপের]
তৃণমূল নেতার আরও প্রশ্ন, “কাকে দিয়ে চার্জশিট লিখিয়ে এসব করছে? সাহস থাকলে নাম বলুক। আমরা জানি না চার্জশিটের গল্প কী? ইস্যু তৈরি করতে চার লাইন ঢুকিয়ে দিতে হবে। এসব আমরা জানি। জেঠুদের বলো ইঙ্গিতে কেন, যার বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে চার্জশিট দিক। আইনে লড়বে। শুভেন্দু ‘চোর’, ‘ব্ল্যাকমেলার’। নারদে ওকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। কাঁথি পুরসভায় যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের চিঠির মিল রয়েছে। এসব থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে। ‘মানসিক রোগী’, ‘বিকৃতমনস্ক’, ‘চোর’, ‘চিটিংবাজ’। হাওয়ায় ইঙ্গিত বলে ভাসাচ্ছে। ব্যক্তিগত হিংসা থেকে এসব বলছে। ওর থেকে অভিষেক ১৫-১৬ বছরের ছোট। হিংসা করে লাভ আছে?”
উল্লেখ্য, শুক্রবারই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, কয়লা পাচার কাণ্ড আদতে একটি চক্র। দুর্নীতির মোট অঙ্ক ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। গুরুপদ মাঝির নাম চার্জশিটে উল্লেখ আছে। তার মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা রাজ্যের প্রভাবশালী এক রাজনীতিকের কাছে গিয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনও নাম উল্লেখ করেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তবে তাঁর দাবি, ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি রাজ্য প্রশাসনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক। সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এই পাচার মামলার সঙ্গে কার যোগসাজশের কথা উল্লেখ করতে চাইলেন শুভেন্দু, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর আলোচনা।