সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘খলিস্তানি’ মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। কর্তব্যরত পাগড়িধারী পুলিশ আধিকারিককে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে দেগে দেওয়ার ঘটনায় এবার কাঠগড়ায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সন্দেশখালি থানা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকারের দাবি, পুলিশ আধিকারিক জশপ্রীত সিংকে খলিস্তানি বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানালেন এডিজি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিরোধী দলনেতা। ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে তাঁর দাবি, এধরনের কোনও মন্তব্য করার প্রয়োজন তাঁদের নেই। বরং শিখ সম্প্রদায়ের সকলকে তিনি শ্রদ্ধা করেন।
সন্দেশখালি যাওয়ার পথে ধামাখালিতে আটকানো হয় শুভেন্দু অধিকারী, শংকর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল-সহ বিজেপি কর্মীদের। একইসঙ্গে সন্দেশখালির ১২ জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরে অবশ্য কলকাতা হাই কোর্টের অনুমতিতে সন্দেশখালি ঢোকেন শুভেন্দু এবং শংকর। ধামাখালিতে বিজেপি কর্মীদের আটকানোর সময় পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ সুপার জশপ্রীত সিংকে খলিস্তানি বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি কর্মীরা।
[আরও পড়ুন: যাবে না চাকরি, বরং তৈরি হবে নতুন সুযোগ, কৃত্রিম মেধার প্রসার নিয়ে দাবি IBM কর্তার]
এ প্রসঙ্গে সুপ্রতিম সরকারের দাবি, “আজ সকালে ধামাখালিতে ইনটালিজেন্স ব্রাঞ্চের স্পেশাল সুপারিটেনন্ডেড জশপ্রীত সিংয়ের দিকে সরাসরি আঙুলের উঁচিয়ে খলিস্তানি বলেছেন বিরোধী দলনেতা। বলেছেন, ‘ইনি খলিস্তানি’। একজন রাজনৈতিক নেতার মুখে এধরনের অসংবেদনশীল, প্ররোচনামূলক, অসম্মানজনক মন্তব্য শুনে আমরা স্তম্ভিত। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ।” বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানালেন সুপ্রতিম সরকার।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, “আমি বা আমাদের সঙ্গীরা কোনও ধর্মকে আক্রমণ করে কিছু বলেনি। আমরা গুরু নানকজিকে প্রণাম করি। শিখ ধর্মকে সম্মান করি।” উলটে তাঁর দাবি, ” ওই অফিসার রূঢ় ব্যবহার করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিজের নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।”