অর্ণব আইচ: ব়্যাগিংয়েই স্বপ্নভঙ্গ স্বপ্নদীপের নাকি অন্য কিছু? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে হাজারও প্রশ্নের ভিড়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগের আঙুল। এই পরিস্থিতিতে পালটা বিস্ফোরক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। হস্টেল সুপারের দাবি, নিয়ম বহির্ভূতভাবে হস্টেলে ছিলেন স্বপ্নদীপ।
স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর থানায় খুনের মামলা রুজু করেন তাঁর বাবা। ঠিক কীভাবে প্রাণ গেল ছাত্রের, তা জানতে বাংলা বিভাগের ৬ জন পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এছাড়া ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় এবং হস্টেল সুপারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ঠিক কী হয়েছিল সেই রাতে, তা স্পষ্ট করে জানান ডিন অফ স্টুডেন্টস। তিনি জানান, বুধবার রাত ১০টা ৫ মিনিট নাগাদ এক পড়ুয়া তাঁকে ফোন করেন। এক ছাত্রের ‘পলিটিসাইজেশন’ হয়েছে বলেই জানান ওই পড়ুয়া। অবশ্য ‘পলিটিসাইজেশন’ ঠিক কী, তা স্পষ্ট করে সেই সময় বুঝতে পারেননি ডিন অফ স্টুডেন্টস। ব্যাখ্যা করে ওই পড়ুয়া জানান, হস্টেলে থাকতে এক ছাত্রকে বারণ করা হয়েছে। সেখানে থাকলে তাঁকে দোতলা কিংবা তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিতে হবে বলেও বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় ৩৫০ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ, সিবিআইকে অনুমতি হাই কোর্টের]
ওই পড়ুয়ার সঙ্গে কথাবার্তার পর তিনি হস্টেল সুপারকে ফোন করেন। A2 ব্লকে সমস্যা হয়েছে বলেই জানান। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথাও বলেন। রাত ১২টা নাগাদ সুপারের ফোন পান ডিন অফ স্টুডেন্টস। হস্টেল সুপারই জানান এক পড়ুয়া পড়ে গিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটেছে। ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভরতির পরামর্শ দেন ডিন অফ স্টুডেন্টস। এরপর তিনি নিজেও রওনা দেন। ডিন অফ স্টুডেন্টস আরও জানান, উপাচার্যের নির্দেশ মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের A1, A2 ব্লকে থাকা প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের নিউ বয়েজ হস্টেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। প্রাক্তনীদের অবিলম্বে হস্টেল ছেড়ে দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে।