সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও কথাবার্তা, আলাপ-আলোচনায় কাজ হল না। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ, অভিমান উসকে তৃণমূল (TMC) ত্যাগের সিদ্ধান্তের অনড় বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। সোমবার ১২টা নাগাদ বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে দল নিয়ে নিজের অভিমানের কথা জানিয়ে সোজা বেরিয়ে রওনা দিলেন বিধানসভার পথে। সেখানে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা (Resign) দেবেন বলে খবর। এর পর সম্ভবত দলের সঙ্গেও সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করবেন তাপস রায়। এদিন সকালেই তাঁকে বোঝাতে ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দৌত্যেও বরফ গলল না।
বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তর কলকাতার তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে চাপানউতোর চলছিল। দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Sudip Bandyopadhyay)নিশানা করে বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেছিলেন, তাঁর বাড়িতে ইডি পাঠানোর নেপথ্যে রয়েছেন সুদীপবাবু। আর সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গই তুললেন তাপস রায়। তাঁর কথায়, ”গত ১২ জানুয়ারি আমার বাড়িতে ইডি (ED) অভিযান চালায়। সারাদিন তাঁরা এখানে ছিলেন। ওইদিন বিবেকানন্দের জন্মদিনে আমার যে কর্মসূচি ছিল, তাতে যেতে পারিনি। কিন্তু ওইদিনের পর থেকে দলের কেই আমার পাশে দাঁড়ায়নি। মুখ্যমন্ত্রী ফোন করেননি। উনি বলেছেন যে শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে। কিন্তু আমাকে বা আমার পরিবারের কাউকে ফোন করে কিচ্ছু বলেননি। বরং দলের কেউ কেউ আমার বাড়িতে ইডি অভিযানে উল্লাস করেছে।”
[আরও পড়ুন: ‘মোদিজি ক্ষমা করলেন না’, লোকসভায় টিকিট না পেয়ে অভিমানী সাধ্বী প্রজ্ঞা]
তাপসবাবুর অভিমান মেটাতে রবিবার থেকেই দফায় দফায় তাপসবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছিল। ফোন করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন কেউ কেউ। আর সোমবার সকালে তাপসবাবুর বাড়িতে যান কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু। তিনি যাতে দলত্যাগ না করেন, সেই মর্মে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে বলে খবর। তা নিয়ে তাপস রায়ের বক্তব্য, ”ব্রাত্য, কুণাল এসেছিল। ওরা আমার ভাইয়ের মতো। ওরা এসেছে। আর দলের অবস্থা দেখুন। সুব্রত বক্সির তরফে আমার কাছে শোকজ নোটিস এল! এই তো দল।” তাঁর আরও সংযোজন, ”একের পর এক দুর্নীতি ইস্যু, সন্দেশখালি ইস্যু আমাকে অত্যন্ত যন্ত্রণা দিয়েছে।”