গোবিন্দ রায়: শিক্ষক নিয়োগ দু্র্নীতি মামলায় ফের কলকাতা হাই কোর্টে ‘ভর্ৎসিত’ এসএসসি। “আর কত ভুল করবেন? ২০২৪ সালেও ভুল করছেন?”, প্রশ্ন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের।
বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে নবম-দশমের এক চাকরিপ্রার্থী আরটিআইয়ের মাধ্যমে সদ্য হাতে পাওয়া OMR আদালতে পেশ নবম-দশমের এক চাকরিপ্রার্থী। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, “এই আরটিআইয়ের বয়ানে তো এসএসসি জানিয়েছে যে তাদের ডেটাবেসে যে তথ্য আছে সেখান থেকেই এটা দেওয়া হয়েছে। তার মানে তাদের কাছে OMR এর কপি আছে। এটা তো কোথাও কোনও আদালতে এসএসসি বলেনি। এসএসসি জানিয়েছিল যে সমস্ত নথি NYSA-র কাছে রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে সূর্যই সেরা, টানা দ্বিতীয়বার আইসিসির বর্ষসেরা ভারতের তারকা]
আদালতে এসএসসি জানায়, “আরটিআইয়ের বয়ানে ভুল রয়েছে। সিবিআইয়ের কাছ থেকে আমরা যে ওএমআরের স্ক্যানড কপি পেয়েছিলাম সেখান থেকেই এই চাকরিপ্রার্থীকে ওএমআর দেওয়া হয়েছে। আর নম্বর আমাদের ডেটাবেসে ছিল।” একথা শুনেই বিরক্ত হন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। এসএসসিকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, “আর কত ভুল করবেন? ২০২৪ সালেও ভুল করছেন?”
এদিকে, এদিন এই মামলার শুনানি চলাকালীন নাম না করে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে বিঁধলেন আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের। তাঁর সওয়াল, “আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি এই দুজনেরই রাজনৈতিক পটভূমি রয়েছে। এই দুই বিচারপতি শুধুমাত্র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর কথা শুনে রায় দিয়েছেন।” নাম না করে এক বিচারপতির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কল্যাণের সওয়াল, “একজন বিচারপতি সিবিআইয়ের ছজন আধিকারিককে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে বদলি করা হয়েছে। কারণ, তাঁরা বলেছিলেন ওই বিচারপতির নির্দেশ অনুযায়ী তদন্ত করবেন না। ২০০৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ৭০টি মামলায় এসএসসির হয়ে নিয়োগে সম্মতি দিয়ে তার পর বিচারপতি হয়েছেন। এই দুর্নীতির CBI তদন্ত হবে না?”