ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সংসদের বাদল অধিবেশনে (Monsoon Session) দলের রণকৌশল ঠিক করতে একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশের পরই দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদে দলের অবস্থান কী হবে, অন্য বিরোধীদের সঙ্গে কতটা সমন্বয় রেখে চলতে হবে, ওই বৈঠকেই সাংসদদের সেসব নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা দিয়ে দেবেন মমতা।
এমনিতেই শহিদ দিবসের (Sahid Diwas) সমাবেশ উপলক্ষে একুশে জুলাই দলের সব সাংসদ কলকাতায় থাকবেন। দলীয় সূত্রের খবর, সমাবেশ শেষে বিকেল চারটে নাগাদ দলের সাংসদদের নিয়ে কালীঘাটে বৈঠকে বসবেন মমতা (Mamata Banerjee)। একুশের সমাবেশের দিন তিনেক আগেই অবশ্য সংসদ অধিবেশন শুরু হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকায় অধিকাংশ তৃণমূল সাংসদ প্রথম তিনদিন সংসদে থাকবেন না। সমাবেশ শেষে নেতৃত্বের নির্দেশ পাওয়ার পর ২২ জুলাই সকালে দিল্লি উড়ে যাবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্র থেকে একনায়কতন্ত্রের দিকে ঢলে পড়ছে দেশ’, কেন্দ্রকে তোপ কপিল সিব্বলের]
সংসদের বাদল অধিবেশন বিরোধী ঐক্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। গত দু’টি অধিবেশনে অন্য বিরোধীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে চললেও কংগ্রেসের (Congress) থেকে কিছুটা হলেও দুরত্ব বজায় রেখে চলেছে তৃণমূল। আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় দেখা গিয়েছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল এক মঞ্চে এসে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী ঠিক করছে। এরপর সংসদেও কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সমন্বয় দেখা যাবে কিনা সেটা লক্ষণীয় বিষয় হতে চলেছে। তাছাড়া উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন সামনে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তৃণমূল (TMC) অগ্রণী ভূমিকা নেবে কিনা, সেটাও কালীঘাটের ওই বৈঠকের পরই স্পষ্ট হবে।
[আরও পড়ুন: একুশে জুলাই মমতার ভাষণ শোনানো হবে একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যেও]
বাদল অধিবেশনের আগে শনিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) যে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল সেটা বয়কট করেছে। তবে, শোনা যাচ্ছে অধিবেশনের ঠিক আগে কেন্দ্রের তরফে যে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে তাতে থাকবেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী রীতি মেনেই তৃণমূলের লোকসভা এবং রাজ্যসভার দলনেতাকে ফোন করে ওই বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁরাও বৈঠকে থাকবেন বলেই জানিয়েছেন।