জ্যোতি চক্রবর্তী: বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে এবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেলেন বনগাঁর তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা একুশের ভোটে বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। ২০২১ বিধানসভা ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আলোরানি বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi Citizenship) , এই অভিযোগের প্রমাণ পেশ করা হয় আদালতে। তার পালটায় তেমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি আলোরানি সরকার। ফলে ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে আলোরানি সরকারকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করার দাবি তুললেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) বিধায়ক স্বপন মজুমদার৷
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (WB Assembly Election 2021) বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপির কাছে পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার। সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা দায়ের করেন। এই মামলার শুনানিতে বনগাঁ (Bongaon) দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার আলোরানি দেবীর নাগরিকত্বের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। তাঁর আইনজীবী প্রমাণ-সহ দাবি করেন, আলোরানি সরকারের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে। এই অভিযোগ খারিজ করতে পালটা তেমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি আলোরানি দেবী। গত বছরই সেই মামলা খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আলোরানি ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। সেখানেও ধাক্কা। এদেশের সংবিধানে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোনও জায়গা নেই। তাই বিচারপতি সুব্রত তালুদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর বেঞ্চও তা খারিজ করে দিল।
[আরও পড়ুন: রাহুলকে জেলে পাঠানো বিচারকের পদোন্নতি কীসের ভিত্তিতে? খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্ট]
এরপর বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার পরাজিত হয়েছিলেন৷ নির্বাচনের পরে আলোদেবী হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে। সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে দিয়ে তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছে৷ আলোরানি দেবী বাংলাদেশি নাগরিক, সেটা প্রমাণিত। আগামী দিনে আমরা তাঁর নামে এফআইআর করে বাংলাদেশ পুশব্যাক করার কথা বলব।” স্বপনবাবুর আরও অভিযোগ, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ থাকতে পারে আলোরানি দেবীর৷
[আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কতটা প্রভাব ফেলবে বাংলায়? কী জানাল হাওয়া অফিস?]
এ বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ”আলোরানি সরকার যদি বাংলাদেশি হন, তাহলে বিজেপি কেন ২০১৬ সালে তাঁকে প্রার্থী করেছিল? স্বপন মজুমদার একজন মাদক পাচারকারী ৷ তাকে দেশদ্রোহী বলে ঘোষণা করা উচিত৷”