সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যজুড়ে এখনও জারি বিধিনিষেধ। রাত্রি নটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বাইরে বেরনো নিষেধ। তবে তা সত্ত্বেও নিয়মভঙ্গকারীদের খোঁজ মিলছে অহরহ। তা রুখতেই রবিবার রাতে পার্ক স্ট্রিটে নাকা তল্লাশি চালায় পুলিশ। তাতেই আটকানো হয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের গাড়িও। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে খবরই ঘুরপাক খাচ্ছিল। সেই প্রসঙ্গে এবার নীরবতা ভাঙলেন তিনি।
সোমবার সকালে এ প্রসঙ্গে একটি টুইট করেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি লেখেন, “রবিবার রাতের পার্ক স্ট্রিট (Park Street)। কোভিডবিধিতে পুলিশের নাকা চেকিং। গাড়ির লাইনে দাঁড়াই। পরিচয় জানিয়ে পাশ দিয়ে চলে যেতে পারতাম। যাইনি। পুলিশ চিনতে পেরে যথেষ্ট সৌজন্যও দেখায়।” সঠিকভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছে পুলিশ। তাই কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) কাজে প্রশংসা করেছেন তিনি। এছাড়াও সকলকে পুলিশের কাজে সহযোগিতা করার বার্তাও দিয়েছেন তৃণমূল নেতা।
[আরও পড়ুন: যুগের পর যুগ সাপের সঙ্গে সহাবস্থান, রীতি মেনে জ্যান্ত কেউটের পুজোয় মাতলেন বর্ধমানবাসীরা]
করোনাবিধি লঙ্ঘন করে পার্ক স্ট্রিট এবং মিন্টো পার্কের অভিজাত হোটেলে পার্টির (Party) আয়োজন করার অভিযোগ সামনে এসেছে সদ্য। পার্ক স্ট্রিটের অভিজাত হোটেলের ঘটনায় পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ৩৭ জন। তারপর থেকেই রাত ন’টার পর কলকাতার রাস্তায় বেরনো গাড়ির উপর কড়া নজর রেখেছে পুলিশ। রাতে কোনও বিশেষ কারণ ছাড়াই প্রচুর গাড়ি চলাফেরা করছে বলে অভিযোগ। তাই প্রত্যেকটি বাইক এবং গাড়ি আটক করে তার চালক এবং আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিছু আরোহী চিকিৎসাজনিত কারণ উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন, তাঁরা কাজ থেকে ফিরছেন। তবে বহুক্ষেত্রেই উপযুক্ত কারণ উল্লেখ করতে পারেননি অনেকেই। সে ক্ষেত্রে যদিও ওই গাড়ির চালক এবং মালিকের বিরুদ্ধে সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইনে মামলা রুজু হয়েছে। শনিবার রাত ন’টার পর অকারণে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগে ট্রাফিক পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে ৮৩০টি গাড়ি। তার মধ্যে পার্ক স্ট্রিট এবং সংলগ্ন এলাকায় ১০০টি গাড়ি ধরা পড়েছে। বাকি ৭৩০টি গাড়ি কলকাতার অন্যান্য জায়গা থেকে ধরা হয়েছে। অভিযান লাগাতার চলবে বলেই জানা গিয়েছে।