সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার রাজ্যপালকে নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। নারদ কাণ্ডে (Narada Case) যে চার হেভিওয়েটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার পিছনে ধনকড়ের ভূমিকা রয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। ফের জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) ‘রক্তচোষা’ বলে কটাক্ষ করেছেন সাংসদ। যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পালটা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবিষয়ে টুইটে দুঃখপ্রকাশ করেছেন ধনকড়। লিখলেন, “আমি স্তম্ভিত।”
ত সোমবার কার্যত নাটকীয়ভাবে নারদ কাণ্ডে চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই গ্রেপ্তারির পিছনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মদত রয়েছে বলেই এদিন দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল সকাল থেকে সন্ধে তৃণমূলের পিছনে পড়েছে। উনি ‘রক্তচোষা’।রাজ্যপালের মোবাইল-ল্যান্ডলাইন, ওনার সঙ্গে যাঁরা থাকেন, তাঁদের ফোন খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে গ্রেপ্তারির পিছনে উনিই রয়েছেন।” সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা যায় না। সেই প্রসঙ্গে কল্যাণবাবু বলেন, “আমি জানি এখন ওনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে আমি সবাইকে বলছি সব থানায় ধনকড়ের বিরুদ্ধে মামলা করুন। উনি যখন রাজ্যপাল থাকবেন না, তখন কেস শুরু করা যাবে। বলা যায় না, হয়তো প্রেসিডেন্সি জেলেই ওনার ঠাঁই হবে।”
[আরও পড়ুন: করোনা কালে জনসংযোগে জোর! সাংসদ-বিধায়কদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ বিজেপির]
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “উনি উন্মাদের মতো কথা বলছেন। দলেই ওনার কোনও গুরুত্ব নেই।” দিলীপ ঘোষকেও পালটা দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষ বদ্ধ উন্মাদ, অশিক্ষিত। অনেক বড় বড় কথা বলেছিলেন, হাত ভাঙবেন, পা ভাঙবেন। কী লাভ হল? সবাই ওনাকেই শুইয়ে দিল। উনিই এখন বিজেপির কাছে অবাঞ্চিত।” উল্লেখ্য, রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্ক কোনওদিনই সুমধুর নয়। বারবার তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, বিজেপির হয়ে কাজ করেন ধনকড়।