অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় জোড়া খুন। গড়িয়াহাটের (Gariahat) ৭৮-এ কাঁকুলিয়া রোডের একটি দোতলা বাড়ি থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের কবজি, ঘাড় এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মারধরের পর হাতের শিরা কেটে তাঁদের খুন করা হয়েছে। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে খুন বলেই মনে করা হচ্ছে।
গড়িয়াহাটের ৭৮ কাঁকুলিয়া রোডের ওই দোতলা বাড়িটির মালিক সুবীর চাকি। তিনি আগে ওই বাড়িটির দোতলায় থাকতেন। তবে এখন আর তিনি ওই বাড়িতে থাকেন না। বর্তমানে নিউটাউনের একটি বহুতলে থাকতেন সুবীর। দোতলা বাড়ির নীচতলাটি একটি বেসরকারি সংস্থাকে ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। কাঁকুলিয়া রোডের এই বাড়িটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সুবীর চাকি। বিক্রির জন্য বাড়ি দেখাতেই রবিবার গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের সঙ্গে কাঁকুলিয়া রোডে যান তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘অপরাধীদের ধর্ম হয় না’, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার নিন্দায় বিবৃতি জারি আব্বাস সিদ্দিকির]
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধের পর থেকে সুবীরবাবুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর ফোনটি সুইচড অফ ছিল। তাতেই সন্দেহ হয় পরিজনদের। রাত বাড়তে থাকলেও কোনও খোঁজ না পাওয়ায় সন্দেহের পারদ ক্রমশই চড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁর পরিজনেরা। সুবীরবাবুর প্রতিবেশীরাই গড়িয়াহাট থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
অভিযোগ শোনার পরই কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে পৌঁছয় গড়িয়াহাট থানার পুলিশ। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। বাড়িতে ঢুকতে গিয়েই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। তাঁরা দেখেন দোতলা বাড়ির নীচতলায় পড়ে রয়েছে বাড়িরমালিক সুবীর চাকির দেহ। দোতলা থেকে উদ্ধার হয় গাড়িচালক রবীন মণ্ডলের রক্তাক্ত দেহ। দু’জনেরই হাত, পা, ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, হাতের শিরা কেটে খুন করা হয়েছে তাঁদের। তাঁর দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরে খুন বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। নিহতদের মোবাইল দু’টির কোনও হদিশ নেই। কললিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তারই খোঁজ চলছে।