সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এ যেন মল্লযুদ্ধ। একদিকে রাজ্যপাল, অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যপাল হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মাঝরাত পর্যন্ত দেখুন কী করি! পালটা শিক্ষামন্ত্রী আবার তাঁর সঙ্গে ‘ভ্যাম্পায়ারে’র তুলনা করলেন!
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত দীর্ঘদিনের। রাজ্যের মনোনীত কাউকে উপাচার্য হিসাবে না নিয়ে নিজের পছন্দমতো অধ্যাপকদের উপাচার্য পদে নিয়োগ শুরু করেছেন রাজ্যপাল। যার প্রতিবাদে রাজ্য সরকার পন্থী শিক্ষাবিদ এবং উপাচার্যরা রাস্তাতেও নেমেছেন। বুধবারই রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে উপাচার্য নিয়োগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে বিঁধেছেন ব্রাত্য (Bratya Basu)। ওই বৈঠক থেকে তিনি বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ‘পুতুলখেলা খেলছেন’। তাঁকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনাও করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে, ফের রাজ্যে আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দল]
যার পালটা হিসাবে শনিবারই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে বলে দিয়েছিলেন, “আমি যা করছি তার জন্য গর্বিত। আমার আচরণে আমি খুশি। মধ্যরাত পর্যন্ত দেখতে থাকুন, আসল পদক্ষেপ কাকে বলে।” রাজ্যপালের এই হুঁশিয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল কী পদক্ষেপ করতে চলেছেন, তা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: জি-২০ সামিটে ‘লোন উলফ’ হামলার আশঙ্কা! হোটেলের নিরাপত্তায় মোতায়েন ‘হিট স্কোয়াড’]
সেই জল্পনার মধ্যেই রাজ্যপালের ওই মন্তব্যের পালটা এল শিক্ষামন্ত্রীর তরফে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শিক্ষামন্ত্রী রসিকতার সুরে বললেন,”সাবধান, সাবধান, সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছেন। নাগরিকরা নিজেদের খেয়াল রাখুন। হিন্দু পুরাণ মতে ‘রাক্ষস প্রহরে’র অপেক্ষায় থাকলাম।” অর্থাৎ নাম না করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে রাক্ষসের সঙ্গে তুলনা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।