সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালিগঞ্জ ও আসানসোল – রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By-Elections) শুরু হওয়ার পরই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে ভোট হলেও এড়ানো গেল না বিশৃঙ্খলা। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের দুটি বুথে কলকাতা পুলিশ কেন? এই প্রশ্ন তুলে দিনের শুরুতেই সরব হন বিজেপি (BJP) প্রার্থী কেয়া ঘোষ। অন্যদিকে, আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul) দিনের শুরুতেই ভোটে দিয়েছেন। ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সেই চিহ্ন দেখিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ”যাঁরা আমাকে বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেছিল, তাঁদের দেখিয়ে দিলাম। নানা জায়গায় ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। অশান্তি হলে পালটা অশান্তির মুখে পড়তে হবে। মারের বদলে পালটা মার হবে।” তাঁরা দুজনই নির্বাচন কমিশনে নিজেদের অভিযোগ জানিয়েছেন। কমিশনও পালটা রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ উপনির্বাচনের সকাল থেকেই দুই কেন্দ্রে বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীর অতি সক্রিয়তা নজরে পড়ছে।
[আরও পড়ুন: গ্রামীণ আবাস যোজনায় সেরা বাংলা, কেন্দ্রের তথ্য তুলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জবাব রাজ্যের]
মঙ্গলবারের উপনির্বাচন চলছে সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তাবলয়ের মাঝে। তা সত্ত্বেও দিনের শুরু থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছে। বালিগঞ্জ (Ballygunge) বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট কেমন চলছে, তা দেখতে সকাল থেকেই বেরিয়ে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ। তাঁর নজরে পড়ে অশোক হল এবং মডার্ন হাই স্কুলের বুথে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। তিনি সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের কাছে জানতে চান, তাঁরা থাকা সত্ত্বেও কেন বুথে কলকাতা পুলিশ? ওই পুলিশকর্মীদেরও প্রশ্ন করেন। তখনই তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদ হয় পুলিশের। এছাড়া কেয়ার অভিযোগ, “কিছু কিছু জায়গায় মেশিন খারাপ। ভোটাররা ফিরে যাচ্ছে। একবার মেশিন পালটানোর পর ফের একই বিষয়। বুঝতে পারছি না। কী হচ্ছে?” বালিগঞ্জের পাঠভবন ও মর্ডান হাই স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁর। কেয়া ঘোষের অভিযোগ, ”কলকাতা পুলিশ বুথে রয়েছে। অথচ তাঁদের ১০০ মিটারের মধ্যে থাকার কথা নয়। আমার এজেন্টকে বুথে বসতে দিচ্ছে না। ওঁরা তো ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য বুথে ঢুকেছেন। আমি স্পষ্ট জানিয়েছি, বুথে যেন পুলিশকে ঢুকতে না দেওয়া হয়। এজেন্টকে বাধা দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি।”