ধীমান রক্ষিত: মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দকেই মান্যতা রাজ্যপালের! মঙ্গলবার বাংলার আরও ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করলেন সি ভি আনন্দ বোস। এদিন চারজনকেই রাজভবনে ডেকে পাঠিয়ে নিয়োগপত্র দেন তিনি।
কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য হলেন তপতী চক্রবর্তী। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য জানে আলম, মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য সৌরাংশু মুখোপাধ্যায় এবং হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য হচ্ছেন নন্দিনী সাহু। এঁরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম পছন্দ ছিলেন। রাজ্যের পাঠানো সেই তালিকা মেনেই এদিন নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরেই আটকে ছিল। রাজভবন-নবান্নের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছিল। গত শুক্রবার অবশেষে সেই জট খোলে। টানাপোড়েনের অবসান হয়। গত শুক্রবার রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে সায় দিয়েই ছটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের নাম চূড়ান্ত করেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। সম্পর্কের 'শীতলতা' কাটিয়ে সোমবার রাজভবন যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের মধ্যে ঘণ্টা খানেক বৈঠক হয়। তার পর এদিন আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করলেন বোস। সবমিলিয়ে রাজ্যের ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল।
নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হলেন সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। এখন উপাচার্য নিয়োগে রাজ্য সরকারের এক্তিয়ার থাকলেও চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে হয় আচার্যকে। এতদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্যরা দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার কয়েকটি নাম প্রস্তাব করেছিল। তবে তাতে অনুমোদন মেলেনি এতদিন। অভিযোগ উঠেছিল, রাজ্য সরকার নিজের পছন্দের শিক্ষাবিদদেরই ওই পদে বসাতে চায়। এনিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। নিরপেক্ষতার স্বার্থে শীর্ষ আদালত একটি সার্চ কমিটি গড়ে দেয় উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য। যে কমিটির শীর্ষে ছিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত। রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস সার্চ কমিটির নির্দেশ মেনে অবশেষে উপাচার্যদের নামে চূড়ান্ত সিলমোহর দিলেন। দেখা গিয়েছে, রাজ্যের প্রস্তাবিত নামেই সায় দিয়েছেন তিনি