shono
Advertisement

‘বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন’, শ্যামাপ্রসাদ জয়ন্তীতে রাজ্যকে খোঁচা রাজ্যপালের, নিন্দায় সরব তৃণমূল

রাজ্যপালের নিন্দা বুদ্ধিজীবীদেরও।
Posted: 02:07 PM Jul 06, 2022Updated: 02:07 PM Jul 06, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shyama Prasad Mukherjee) জন্মজয়ন্তীতে ফের আইনশৃঙ্খলা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে রাজ্যকে খোঁচা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের দাবি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি বাংলার ভবিষ্যৎকে সংকটের মুখে দাঁড় করিয়েছে। ধনকড়ের মন্তব্যের পালটা এসেছে তৃণমূলের তরফেও।

Advertisement

এদিন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন,”শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় দেশভাগের চক্রান্তকে প্রতিহত করেছিলেন। কিন্তু আজ বাংলার ভাগ্যাকাশে ফের সংকটের কালো মেঘ। তুষ্টিকরণের রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। ভারতের সংবিধান নিরপেক্ষ এবং সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করে। ন্যায়বিচারের কথা বলে। কেন্দ্রীয় সরকার সেই নীতি মানলেও এরাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন।” এরপর সুর আরও চড়িয়ে জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar) বক্তব্য, বাংলার মাটিতে গণতন্ত্রকে কোনওভাবেই শেষ নিঃশ্বাস ফেলতে দেব না। বাংলার মানুষকে বলছি, প্রতিবাদ করুন। বুদ্ধিজীবীদের বলছি, প্রতিবাদ করুন। বস্তুত, বাংলার বুদ্ধিজীবীদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: কালী পোস্টার বিতর্ক: মহুয়ার গ্রেপ্তারির দাবিতে বিক্ষোভ, পুলিশকে আটদিন সময় দিলেন শুভেন্দু]

জগদীপ ধনকড়ের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে তৃণমূলের (TMC) তরফে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “রাজ্যপালের ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্যপালকে রাজ্যপালের মতো কাজ করতে হবে। উনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতো কাজ করছেন। এর আগে বাংলায় অনেক রাজ্যপাল এসেছেন। কেউ এভাবে কথা বলেননি।” সাংসদ শান্তনু সেন আবার সরাসরি রাজ্যপালের অপসারণের দাবি করেছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল বিজেপির তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছে। বিজেপি নেতার ভূমিকায়, বিজেপি (BJP) নেতার মতো কথা বলছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি জানাব, এই ধরণের অগণতান্ত্রিক রাজ্যপালকে অপসারণ করুন।

[আরও পড়ুন: প্রেমিকার প্ররোচনাতেই আত্মঘাতী? মাকে ফোন করেই গলায় ফাঁস দিলেন কলকাতার তরুণ]

ধনকড়ের মন্তব্যের পালটা এসেছে বুদ্ধিজীবী মহল থেকেও। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলছেন, গণতন্ত্রের প্রশ্ন এলে শুধু রাজ্যের কথা বললে তো হবে না। কেন্দ্রের কথাও বলতে হবে। সারা ভারতবর্ষেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিপন্ন। শুধু বাংলা নিয়ে আলাদা করে বলার জায়গা নেই। অভিনেতা কৌশিক সেনও (Koushik Sen) একই সুরে ধনকড়কে বিঁধেছেন। তাঁর বক্তব্য, “আমরা কিন্তু সব বিষয়েই সরব হচ্ছি। বাংলায় যে পরিমাণ অগণতান্ত্রিক কাজ হচ্ছে। তার চেয়ে অনেক বেশি অগণতান্ত্রিক কাজ হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে, গোটা ভারতবর্ষে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement