সুদীপ রায়চৌধুরী: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayat Election) নির্ঘন্ট প্রকাশ হতেই দফায় দফায় বৈঠক শুরু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)। শুক্রবার দুপুর একটায় জেলাশাসক (DM) এবং পুলিশ সুপারদের (SP) সঙ্গে দফায় দফায় ভারচুয়াল বৈঠক করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।নির্বাচনে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে বলে খবর। বৈঠকে ১০০ শতাংশ বুথকেই স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেইমতো নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তবে বিশেষ নজর থাকছে ৫ জেলায় –
- উত্তর ২৪ পরগনা
- দক্ষিণ ২৪ পরগনা
- বীরভূম
- পূর্ব মেদিনীপুর
- জলপাইগুড়ি
এ বিষয়ে কমিশনের প্রথম নির্দেশ, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে যাতে কারও কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। প্রত্যেক বুথে পানীয় জল এবং ছাউনির ব্যবস্থা রাখতে হবে। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কোনও ভাবেই যাতে কেউ ঢুকে না পড়ে, তা প্রথম দিন থেকে নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের কাছে যাতে কোনও অভিযোগ না আসে। এছাড়া বয়স্ক ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে বুথে। কমিশনের আইনকে সম্পূর্ণ মান্যতা দিতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার কড়া বার্তা, কোনও গাফিলতি কমিশন বরদাস্ত করবে না। সূত্রের খবর, শনিবার থেকে রাজ্য পুলিশের সমস্ত বিভাগের সব কর্মী, আধিকারিকের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটের কারণে। ভোটের ফলপ্রকাশ অর্থাৎ আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত বাতিল করা হচ্ছে সব ছুটি।
[আরও পড়ুন: ‘পঞ্চাশ বা একশো করে বুক বাজায় না’, রাহানের প্রশংসা করতে গিয়ে কি কোহলিকে কটাক্ষ করলেন সানি?]
যদিও এই বৈঠকে আর কী কী আলোচনা হয়েছে, মুখ্যসচিব এবং ডিজি (DG) এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে রক্তপাতহীন করার লক্ষ্যে সব রকম ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। ২০১৮র পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেদিকে কড়া নজর কমিশনের। তবে আদপে কমিশন সদর্থক ভূমিকা পালন করতে কতটা সক্ষম হবে, সেটাই এখন দেখার।