দীপালি সেন: হাজারও কেলেঙ্কারির অভিযোগ মাথার উপর। সেসব কলঙ্ক মুছে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Teachers recruitment process) স্বচ্ছতা আনতে মরিয়া সংশ্লিষ্ট সংস্থা। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) সভাপতি গৌতম পাল আশ্বাস দিয়েছিলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গেই বছরে দু’বার করে নিয়োগ হবে। টেট উত্তীর্ণরা যাতে নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতিতে অংশ নেন, তার জন্য আবেদনও জানান তিনি। আর বুধবার পর্ষদের তরফে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে টেটে (TET) বসার যোগ্যতামান শিথিল করা হল। প্রশিক্ষিত না হলেও প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে পারবেন আবেদনকারীরা। তবে ওই প্রশিক্ষণের জন্য ভরতি হয়েছেন, তার প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষক হিসেবে চাকরি করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ দরকার। যোগ্যতামানের মধ্যেই সেসব উল্লেখ করা থাকে। প্রাথমিকে পড়ানোর জন্য ডিপ্লোমা অফ এলিমেন্টারি এডুকেশন কিংবা B.El.Ed ডিগ্রি দরকার। এছাড়া B.Ed প্রশিক্ষণও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অন্যতম যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। NCTE বা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ টিচার এডুকেশনের গাইডলাইন মেনেই এই নিয়মাবলি তৈরি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মোমিনপুর অশান্তি মামলা: সিট গঠনের নির্দেশ হাই কোর্টের, নেতৃত্বে ডিজিপি ও পুলিশ কমিশনার]
এবার সেই নিয়মেই সংশোধন করা হল। বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, যাঁরা ডিপ্লোমা অফ এলিমেন্টারি এডুকেশন কিংবা B.El.Ed বা B.Ed-এ ভরতি হয়েছেন, তাঁরা পরীক্ষায় বসার জন্য সমানভাবে যোগ্য। আগামী ২১ অক্টোবর থেকে আবেদন করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীই আবেদন করা যাবে বলে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফে। এই বিজ্ঞপ্তির নিয়ম অনুযায়ী, আরও অনেকেই সুযোগ পাবেন এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার। আসলে দুর্নীতির পাঁকে এতটাই ডুবে রয়েছে এই নিয়োগ পদ্ধতি যে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ করতে অত্যন্ত তৎপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।