দীপালি সেন: স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগে বদ্ধপরিকর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Teachers)। তাই এবার নিয়োগে প্রক্রিয়া নিয়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ। এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ ও নথি যাচাই প্রক্রিয়ার ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। সংরক্ষিত করা হবে সেই ভিডিও ফুটেজ। যাতে ভবিষ্যতে নিয়োগ গিরে প্রশ্ন উঠলে সেই ফুটেজ আদালতে পেশ করা যায়। পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাবিদ থেকে রাজনীতিবিদ সকলে।
প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং এসএসসির শিক্ষক নিয়োগে লাগামহীন দুর্নীতির (Primary TET Scam) অভিযোগ উঠেছে। সেই দুর্নীতিতে যোগ থাকায় আপাতত শ্রীঘরে শিক্ষামন্ত্রী থেকে শিক্ষাদপ্তরের একাধিক কর্তা। সাদা খাতা জমা দিয়েও স্রেফ টাকার জোরে চাকরি পেয়েছেন অনেকে। আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে তাদের। এমন পরিস্থিতি নিয়োগ স্বচ্ছ করতে বদ্ধপরিকর পর্ষদ। তাই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল পর্ষদ।
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ফের দুধের দাম বাড়াল আমুল ও মাদার ডেয়ারি, ছাড় শুধু ভোটমুখী গুজরাটে]
জানা গিয়েছে, চলতি বছরে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পথে হাঁটছে পর্ষদ। চলতি বছর ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা নির্ধারণের পরীক্ষা টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট (টেট) নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ রুমে ঢোকার সময় থেকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ কের বেরিয়ে যাওয়া অবধি পুরো বিষয়টি ভিডিও রেকর্ডিংয়ে ধরে রাখা হবে। পাশাপাশি নথি যাচাই প্রক্রিয়াও ভিডিও ক্যামেরায় ধরা থাকবে।
এনসিটিই-র প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে দেওয়া অ্যাকাডেমিক এবং প্রফেশনাল যোগ্যতা অর্জন করেছেন, এমন প্রার্থীরাই আবেদনের জন্য যোগ্য। মোট ১৫০ নম্বরের টেট পরীক্ষায় যে সকল প্রার্থী ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবেন, তাদের ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ বলে বিবেচনা করা হবে। জেনারেল প্রার্থীদের জন্য আবেদন ফি ১৫০ টাকা, ওবিসি-এ ও ওবিসি বি ক্যাটাগরির জন্য ১০০ টাকা এবং এসি, এসটি-সহ অন্যান্য ক্যাটাগরির জন্য ৫০ টাকা।
২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগ আইন কঠোরভাবে মেনেই প্রার্থীদের নির্বাচন ও নিয়োগ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রেও এনসিটিই-র নির্দিষ্ট করে দেওয়া যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া, বয়সসীমা, বেতন কাঠামো, যোগ্যতা, ছাড়, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়া, ২০২০-২০২২ সেশনে ডিএলএড, ডিএড (স্পেশাল এডুকেশন) ও বিএড প্রশিক্ষণের কোর্স করছেন এবং এই প্রশিক্ষণ কোর্সগুলির পার্ট-ওয়ান পরীক্ষায় সফল হয়েছেন, এমন টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে।