ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে আর জি করে অতিমারী আইন (Epidemic Act) প্রয়োগ করল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হল, যে চিকিৎসকরা কাজে অনুপস্থিত থাকবেন তাঁদের ইন্টার্নশিপের মেয়াদ একদিন করে বেড়ে যাবে। সেই অনুযায়ী বিক্ষোভকারী ১৯২ জন জুনিয়র ডাক্তারদের ইন্টার্নশিপের মেয়াদ ১৩ দিন বেড়ে গিয়েছে। তবু নিজেদের অবস্থানে অনড় আন্দোলনরত ছাত্ররা। উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরে এদিন চিকিৎসক সংগঠনের দুই নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
আর জি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) জট কাটাতে হাসপাতালের মেন্টরদের জরুরি তলব করেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। ঘণ্টাখানেক তাঁদের সঙ্গে বৈঠক সারেন স্বাস্থ্যসচিব। তার পরেও অবশ্য সমাধান সূত্র মিলল না। আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিন তাঁদের পাশে দাঁড়ায় স্টুডেন্টস ফোরাম, ডক্টরস ইউনিটি। বিক্ষোভস্থলে এসে পড়ুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দেন কয়েকজন বামপন্থী চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: ‘সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিন’, সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে বাংলাদেশ প্রশাসনকে আরজি কলকাতার ইসকনের]
ছাত্রদের কথায়, কলেজের প্রিন্সিপাল পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবেই। সূত্রের খবর, রোগীদের হয়রানি ঠেকাতে আউটডোরে আরএমওদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল ৩৮ বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ফের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। রোগী ফেরানো রুখতেও কড়া অবস্থান নিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। রোগী ফেরালে হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে।
রবিবার আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দু’দফায় বৈঠক করেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু তাতেও সমাধান সূত্র মেলেনি। আন্দোলনকারীদের দাবি, অধ্যক্ষ পদত্যাগ না করলে তাঁরা রিলে অনশন চালিয়ে যাবেন। এদিকে, রোগীদের চিকিৎসাও প্রায় হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ল বাইক, মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনায় জখম সেনাকর্মী]
এমারজেন্সিতেও রোগীদের রেফার করে দেওয়া হচ্ছে অন্যত্র। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে আশাহত হয়ে ফিরছেন। এই পরিস্থিতি আর জি কর নিয়ে মাথাব্যথা বাড়ছিল স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। সমাধানের জন্য কলেজ অধ্যক্ষের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি মেন্টর গ্রুপ তৈরি করে দেন স্বাস্থ্যসচিব। এদিন স্বাস্থ্যভবনের বৈঠকের পরও আন্দোলনে অনড় পড়ুয়ারা।