বিধান নস্কর, বিধাননগর: সন্দেশখালিতে অভিযান চালাতে গিয়ে নজিরবিহীন আক্রমণের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে শুক্রবার সেখানকার তৃণমূল (TMC) নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালানোয় ইডি আধিকারিকদের বাধা দেন তাঁরই অনুগামীরা। রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকা। মারমুখী তৃণমূল সমর্থকদের হাত থেকে কার্যত প্রাণ নিয়ে এলাকা ছেড়ে কলকাতা ফিরে আসেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। কারও কারও মাথা ফাটে। তাঁদের সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধেবেলা তাঁদের দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( C V Anand Bose)। এদিন রাতের দিকে আহত ইডি আধিকারিকদের দেখতে যান হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সকালে তিনি এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছিলেন।
রাজ্যপালের বক্তব্য, ”গণতন্ত্রের পক্ষে চ্যালেঞ্জ। গণতন্ত্রের উপর হামলা। দেশের সংবিধান মেনে, আইন মেনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। আমি চোখ-কান খোলা রাখছি। জানিয়ে রাখতে চাই, কড়া পদক্ষেপ করব।” আহত ইডি আধিকারিকদের নিয়ে তিনি বলেন, ”ওঁরা খুব সাহসী। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিজেদের প্রাণ আহুতি দিতেও পিছপা হবেন না। চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: ‘বন্দুক থাকে না? চালাতে পারো না?’, সন্দেশখালি কাণ্ডে বিস্ফোরক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন কি না জানতে চাইলে রাজ্যপাল বলেন, ”এই স্তরের যে আলোচনা প্রকাশ্যে আনা যায় না। তবে সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার খবর রাজভবনে পৌঁছনোর পরই মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করা হয়েছিল। তাঁদের থেকে সন্দেশখালির রিপোর্ট চাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: হাই কোর্ট থেকে বের করে বাম ব্রিগেডে পাঠানো উচিত! কুণালের নিশানায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়]
এদিন সন্দেশখালিতে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন সাংবাদিকরাও। আর তার নিন্দা করে রাজ্যপাল বলেন, ”সংবাদমাধ্যমের উপর হামলা মানে গণতন্ত্রের উপর হামলা, এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
দেখুন ভিডিও: