অর্ণব আইচ: সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কিছু? কী কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই মহিলা? বাঁশদ্রোণীতে মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনই নানা প্রশ্নের ভিড়। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। নিহতের লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে কথাবার্তাও বলছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোররাতে বাঁশদ্রোণীর (Bansdroni) গোষ্ঠতলায় একটি বাড়িতে বছর উনচল্লিশের এক মহিলাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকরা জানান, ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ জানতে পারে, নিহত ওই মহিলার নাম ঐন্দ্রিলা ঘোষ। তিনি বিবাহবিচ্ছিন্না। তবে বর্তমানে সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় নামে বছর সাঁইত্রিশের এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ ইন করতেন। গত দু’বছর ধরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকতেন তিনি।
[আরও পডু়ন: বিমানভাড়া ফেরত নিতে গিয়ে অনলাইনে প্রতারণার শিকার তরুণী, গায়েব ৬৬ হাজার টাকা]
যে বাড়ি থেকে মহিলাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, সেখানে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইলেই একটি অডিও রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে। সেখানে মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলেই বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত বলেও ওই অডিও রেকর্ডে শোনা গিয়েছে। ওই মহিলার গলা শনাক্ত করেছেন তাঁর দাদা। কী কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ঐন্দ্রিলা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আত্মহত্যার জন্য কোনওভাবে মহিলার লিভ ইন পার্টনার সিদ্ধার্থ জড়িত কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিহতের পরিজন এবং তাঁর লিভ ইন পার্টনারের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।