সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখ ধাঁধানো শপিং মলের ভিতর এসি মাল্টিপ্লেক্স। চারদিকে পপকর্নের গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে। একের পর এক শো চলছে। সঙ্গে মিলছে মুখরোচক খাবার। ট্যাঁকে টাকা থাকলেই মিলছে এত সুবিধা। হালফিলের কর্পোরেট দুনিয়ার ভিড় এমন মাল্টিপ্লেক্সেই। চাকচিক্যের যুগে ধুঁকছে রাজ্যের সিঙ্গল স্ক্রিনগুলি। কিছুদিন আগেই দীর্ঘ ৭৮ বছরের ঐতিহ্যের অবসান ঘটিয়ে বন্ধ হয়েছে এলিট সিনেমা হল। এবার পালা দক্ষিণ কলকাতার আরেক ঐতিহ্য মালঞ্চের।
[সিরিয়ালের পর এবার কি তবে বন্ধ হতে পারে সিনেমার শুটিং?]
জানা গিয়েছে, প্রেক্ষাগৃহে শেষ শো চলেছিল ১৪ আগস্ট। তারপর থেকেই বন্ধ রয়েছে টালিগঞ্জের এই কয়েক দশকের আভিজাত সিনেমা হলটি। এখনও পর্যন্ত কোনও অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি না পাওয়া গেলেও ইতিমধ্যেই মৌখিকভাবে মালিকপক্ষের তরফ থেকে কর্মচারীদের প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হওয়ার কথা বলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন বন্ধ হতে চলেছে এতদিনের ঐতিহ্য। এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রেক্ষাগৃহের মালিক অমর রায়চৌধুরি জানান, চার-পাঁচ বছর ধরে লোকসানে চলছে হল। মাল্টিপ্লেক্সের ভিড়ে এই হলে তেমন কেউ আসেন না। কয়েকজন মাত্র দর্শক হয়। অথচ এত বড় প্রেক্ষাগৃহের এসি-র বিলই মাসে আসে কয়েক লক্ষ টাকা। তার উপরে কর্মচারীদের বেতন রয়েইছে। এভাবে আর কতদিন চালানো যায়। তাই এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
[ফ্যানের অনুরোধ রেখে কেরলবাসীর জন্য এই কাজটিই করলেন সুশান্ত]
শেষবার প্রেক্ষাগৃহে চলেছিল কমল হাসানের ‘বিশ্বরূপম টু’। তারপর থেকেই বন্ধ রয়েছে মালঞ্চ। সুতরাং, মাল্টিপ্লেক্সের দাপটে আরও এক ‘সিনেমাওয়ালা’র অকালমৃত্যু। ফের ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই নিল শহরের আরেক আভিজাত্য। কিছুদিন আগেই আবার ঘটেছে প্রিয়া সিনেমা হলে আগুন লাগার ঘটনা। তারপর থেকে বন্ধ রয়েছে সে প্রেক্ষাগৃহটিও। কবে তা খুলবে কারও জানা নেই। কিছুদিন আগে আবার নিজের টুইটে প্রেক্ষাগৃহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মালিক অরিজিৎ দত্ত। এমন অবস্থায় অশনি সংকেত দেখছেন বাকি সিঙ্গল স্ক্রিনের মালিকরাও।
[শিল্পী-প্রযোজক জট কাটাতে উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর, নবান্নে বৈঠক]
The post মাল্টিপ্লেক্সের দাপট, এলিটের পর এবার বন্ধ টালিগঞ্জের মালঞ্চ appeared first on Sangbad Pratidin.