সুমন করাতি, হুগলি: আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গাঁটছড়া বাঁধেন কোন্নগরের নিহত শিশুর মা সান্তা এবং তার বান্ধবী। তার পরই দুজনে মিলে আট বছরের শিশুকে খুনের পরিকল্পনা করে। কোন্নগরে কানাইপুর আদর্শনগরের শিশু খুনের তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। ধৃতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহত শিশুর বাবা এবং প্রতিবেশীরা।
মৃত শিশুর মা সান্তা শর্মার সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক খিদিরপুরের বাসিন্দা ইফ্ফাত পারভিনের। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে দুজনে বিয়েও করে। বিয়ের কথা কাউকে না জানিয়ে দুজনেই আবার বিয়ে করে। পঙ্কজের সঙ্গে বিয়ের পর সান্তা মা হয়। তবে ইতিমধ্যে সংসার ছেড়ে বাপের বাড়িতে ফিরে আসে ইফ্ফাত। ফের যোগাযোগ হয় দুজনের। প্রথমে লুকিয়ে দেখা সাক্ষাৎ করত দুজনে। পরে শুরু হয় বাড়িতে আসা যাওয়া। ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়তে থাকে। সূত্রের খবর, যৌন সম্পর্কও ছিল দুজনের। দ্বিতীয়বার ফের ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে ইফ্ফাত ও সান্তা। তবে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ছোট্ট সন্তান। মনে করা হচ্ছে, সম্পর্কের পথের কাঁটাকে সরাতেই এমন ভয়ংকর পদক্ষেপ নেয় তারা।
[আরও পড়ুন: স্বামীর জোরাজুরিতে ইউটিউব দেখে বাড়িতেই প্রসব! মৃত্যু মা ও সদ্যোজাতের]
খুনের পর তা ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করে দুজনে। খুনের পরদিন সন্তানহারা সান্তাকে সান্ত্বনা দিতে তার বাড়িতেও এসেছিল ইফ্ফাত। তবে কললিস্ট, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, নৃশংসভাবে সন্তানকে খুনের পরেও এতটুকু অনুতপ্ত নয় সান্তা। ইফ্ফাত পারভিনেরও কোনও অনুতাপ নেই। কানাইপুরের ঘটনায় শিউরে উঠছেন প্রায় সকলেই। স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ ঘোষ বলেন, “মা ও সন্তানের সম্পর্ক পৃথিবীর মধ্যে সবথেকে সুন্দর। একজন মা যেভাবে নিজের সন্তানকে খুন করেছে তা ভাবা যায় না।” দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্ত্রী সত্যি এমন কাজ করে থাকলে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহত শিশুর বাবাও।
দেখুন ভিডিও: