সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুম্ভকর্ণ টানা ছ'মাস ঘুমোন। ছ'মাস জেগে থাকেন। তাঁকে ঘুম থেকে জাগাতে ঢাক, ঢোল থেকে ধামসা-মাদল সব প্রয়োজন পড়ত। আবার সঙ্গে লাগত গাড়ি গাড়ি খাবার। রামায়ণের এই গল্প যদি পড়ে বা শুনে থাকেন, তাহলে আপনি মস্ত বড় 'ভুল' শিখেছেন! অন্তত উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী আনন্দীবেন প্যাটেল তেমনটাই মনে করেন।
আনন্দীবেনের দাবি, কুম্ভকর্ণ মস্ত বড় প্রযুক্তিবিদ ছিলেন। টানা ছ'মাস ঘুমোতেন না। বরং জেগে থেকে গোপনে গবেষণা করতেন। খাজা মইনুদ্দিন চিস্তি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল দাবি করেন, অনেকেই কুম্ভকর্ণকে ভুল ব্যাখ্যা করেন। আসলে তিনি ছিলেন এক দক্ষ প্রযুক্তিবিদ। তিনি দীর্ঘ ৬ মাস তাঁর গবেষণাগারে ঘুমের নাম করে গোপনে গবেষণায় যাতে কোনওরকম ব্যাঘাত না ঘটে সেকারণেই নিন্দ্রার কৌশল নেন। তাছাড়া দাদা রাবণও তাঁকে বাইরে বেরোতে বারণ করেছিলেন। যাতে গবেষণার তথ্য অন্য দেশে না চলে যায়।
এখানেই শেষ নয়, আনন্দীবেনের দাবি বিমান বা উড়োজাহাজের ধারণাও প্রথম পাওয়া গিয়েছে পুরাণেই। তিনি বলেন, রাইট ভ্রাতৃদ্বয় নন, বিমানের ধ্যানধারণা দিয়েছিলেন বৈদিক যুগের বিখ্যাত মুনি ভরদ্বাজ। তিনি এমন মুনি যাঁর কথা রয়েছে রামায়ণ ও মহাভারত দুই ধর্মগ্রন্থেই। তাঁর দাবি অনুসারে, ভারতের প্রাচীন সভ্যতা-সংস্কৃতি জানলে অনেক আবিষ্কারের কথা জানা যাবে। তাই বেশি বেশি করে প্রাচীন পুঁথি পড়তে হবে পড়ুয়াদের। এই ভিডিওটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেত। সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ আনন্দীবেন 'গুপ্তজ্ঞান' বিলি করছেন।
এই আনন্দীবেন প্যাটেল একসময় বিজেপির প্রথম সারির নেত্রী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির পর তিনিই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন। পরে ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবেও কাজ করছেন। এখনও তিনি উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল। একটা সময় অধ্যাপক হিসাবেও কাজ করেছেন।