ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: যাবতীয় বিতর্ক নিয়েই ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমা জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) বহু সমালোচিত। এবার তিনি কলকাতায় এসেও নতুন করে বিতর্ক উসকে দিলেন। রবিবার কলকাতা জাদুঘরের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিবেক অগ্নিহোত্রী শাসকদলের সমালোচনা করেছিলেন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে অভিযোগ তুলেছিলেন, ”বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী।” বাংলার আসল পরিস্থিতি তুলে ধরতে তিনি ছবির পর্দায় ‘বেঙ্গল ফাইলস’ তুলে ধরার কথা। সোমবার বিবেক অগ্নিহোত্রীকে পালটা কড়া জবাব দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে বলেন, ”দম থাকলে গুজরাটে গিয়ে গোধরা ফাইলস করে দেখান।”
রবিবার ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় (Kolkata) এসে সরাসরি রাজ্য সরকারকে নিশানা করে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পরিচালক। তাঁর কথায়, ”তিন, চারশো মিনি কাশ্মীর রয়েছে বাংলায়। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, বাংলা জাগরিত ডিএনএ। বাংলার কাহিনি ভারতের সবাইকে বলতে চাই। ‘বেঙ্গল ফাইলস’ বানাব। আমি বাংলায় এসে স্বাধীনভাবে ঘোরাঘুরি করতে পারছি না। দেখুন, সঙ্গে বডিগার্ড। আপনাদের মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে।”
[আরও পডুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে SSC গ্রুপ সি’র ৮৪২ চাকরিহারা]
এর পালটা দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ প্রবল সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ”কে বিবেক অগ্নিহোত্রী? বাংলায় এসে অপমান, কুৎসা, প্ররোচনা দিচ্ছেন। ওঁরা যদি শিল্পী হন, তাহলে নিজেদের শিল্পকর্মের জন্য সম্মান পাবেন। কিন্তু এভাবে বিজেপির দালালি করলে কোনও সম্মান পাবে না। বেঙ্গল ফাইলস করার কথা বলছেন, যান না, দম থাকলে গুজরাটে গিয়ে গোধরা ফাইলস বানান।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”বেঙ্গল ফাইলসে কী দেখাবেন? দেখান কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, রূপশ্রী, যুবশ্রী-এসব। খবর দিয়ে দেখুন, কেন্দ্রের প্রশংসা পেয়েছে এসব প্রকল্প।”
[আরও পডুন: আহমেদাবাদ টেস্ট শেষ হওয়ার আগেই স্বস্তি, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেল ভারত]
আজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভায় অংশ নেওয়ার কথা বলিউড অভিনেতা অনুপম খেরের। তিনি রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ”শান্তিনিকেতন যাবই, কেউ আটকাতে পারবে না।” এর জবাব দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ”কে অনুপম খের? কেন তাঁকে আটকাতে যাবে কেউ? ওটা ওই বিশ্বভারতীতে যিনি বসে আছেন, যিনি রবীন্দ্রনাথের কোনও ঐতিহ্যই মানেন না, তাঁদের মধ্যেকার ব্যাপার।”