সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসদ শিশির অধিকারীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, যে সময় সারদা কর্তারা অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে তোলাবাজি এবং প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন, ঠিক সেই সময়ই শিশির অধিকারীর সম্পত্তির আকাশছোঁয়া বৃদ্ধি হয়েছে। এই দুই ঘটনার যোগসূত্র আছে বলে ইঙ্গিত করছেন কুণাল। এ বিষয়ে তদন্ত চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং ইডি ও সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
গত কয়েক বছরে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল। তাঁর দাবি অনুযায়ী, কাঁথির সাংসদের সম্পত্তি ২০০৯ সালের নির্বাচনী হলফনামায় ছিল মাত্র ১০ লক্ষ টাকা। সেখান থেকে মাত্র ৩ বছরে অর্থাৎ ২০১২ সালে শিশিরের সম্পদের পরিমাণই দাঁড়ায় ১০ কোটিরও বেশি! কুণালের (Kunal Ghosh) প্রশ্ন, “ঠিক যে সময় সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি করে ব্ল্যাকমেইল করে তাঁর থেকে টাকা তোলার অভিযোগ করেছেন, সেই সময়ই শিশির অধিকারীর সম্পত্তি এত বাড়ল কী করে?”
[আরও পড়ুন: Cricket World Cup 2023: ইডেনে জাতীয় পতাকার অবমাননা! রেগে আগুন গাভাসকর, দেখুন ভিডিও]
কুণালের যুক্তি, সুদীপ্ত সেন আদালতে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছেন ২০১১-১২ সালে অধিকারী পরিবারের সদস্যরা তোলাবাজি করে তাঁর থেকে টাকা তুলেছে। আবার ওই একই সময়ে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি কয়েক কোটি টাকা বেড়েছে। যেহেতু একই সময়ে দুটি ঘটনা ঘটছে তাই অবিলম্বে সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তের সঙ্গে এই সম্পত্তি মামলার তদন্ত করা হোক। সিবিআই-ইডি বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি টাকা খুঁজছে, কাঁথি পুরসভার কোষাগারে এত টাকা পড়ে রয়েছে, সেটা কেন উদ্ধার হচ্ছে না, প্রশ্ন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।
[আরও পড়ুন: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি! কালীপুজো-ভাইফোঁটায় কেমন থাকবে আবহাওয়া? জানাল হাওয়া অফিস]
সারদা মামলা এবং শিশির অধিকারীর সম্পত্তি বৃদ্ধির যোগসূত্র আছে, সেই দাবি করে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), ইডি এবং সিবিআই ডিরেক্টরকে চিঠি লিখেছেন। তাঁর বক্তব্য,” শিশিরের সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ আনার পর বিভিন্নভাবে আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে। কিন্তু ১০ কোটি টাকা তাঁর আছে কিনা, সেটা বলছেন না কেন? আমি নাহয় খারাপ মানুষ, কিন্তু শিশিরবাবু বলুন ১০ কোটির হিসাব ঠিক কিনা? যদি ঠিক হয়, তাহলে সারদার টাকা যে অধিকারী ভাইরা বাবার অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে দেয়নি, সেটা কী করে প্রমাণ করবেন? ওই টাকা সারদার তোলাবাজির টাকা নয়, সেটা কী করে নিশ্চিত হবেন?” বিজেপি অবশ্য কুণালের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য পালটা বলছেন, “আপনার যদি মনে হয় কোনও তথ্য গোপন করা হচ্ছে, তাহলে আদালতে যান। আদালতের রাস্তা তো খোলা। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি নিজেদের কাজ সঠিকভাবেই করছে।”