সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে মৃত ভারতীয়দের তালিকা প্রকাশ করল সেদেশের সরকার। সেই তালিকা অনুযায়ী, মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় ৪৫ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন বাঙালিও। তিনি মেদিনীপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
মৃত বাঙালির যুবকের নাম দ্বারিকেশ পট্টনায়েক। তিনি মেদিনীপুরের তুর্কগড়ের বাসিন্দা। মৃতদের তালিকায় নাম রয়েছে আরও ৪৪ জন ভারতীয়ের। তাঁদের বেশির ভাগ কেরলের বাসিন্দা। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় দক্ষিণ ভারতের সেরাজ্যের ২৪ জনের মৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েত সরকার। ৬ জন তামিলনাড়ুর বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাকিরা ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
[আরও পড়ুন: ওভারলোড ট্রাক চালাচ্ছেন নাজমা, টিপুরা! মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ‘গোপন তথ্য’ দিল ট্রাক সংগঠন]
বুধবার ভোরে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটির দক্ষিণে মাঙ্গাফ এলাকার একটি বহুতল আবাসনে বিধংসী আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান গ্রাসে পুড়ে মৃত হয় ৪৯ জনের। তার মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয়। আজ বৃহস্পতিবার মৃতদের তালিকা প্রকাশ করেছে কুয়েত সরকার।
এই ৪৫ জনের দেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে নয়াদিল্লি। বুধবার রাতেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর কুয়েতের বিদেশমন্ত্রী আলি আল-ইয়াহিয়ার সঙ্গে কথা বলেন। ইতিমধ্যেই আহতদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করতে এবং নিহতদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে কুয়েতে পৌঁছে গিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিংহ।
তবে আগুন লাগার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বহুতলের গ্যাস লিক হওয়ার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সরকারি ভাবে কিছু জাননো হয়নি। কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিহত শ্রমিকদের মধ্যে ভারতীয় ছাড়াও মিশর, নেপাল, পাকিস্তান এবং ফিলিপিন্সের বাসিন্দা রয়েছেন।
কুয়েতের এই ঘটনার পর বুধবার একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে স্থির হয়েছে নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে পশ্চিম এশিয়ায় কর্মরত ভারতীয়দের সুরক্ষার বিষয়টি দেখার জন্য নবনির্বাচিত সরকারকে জানিয়েছেন।