সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউহানের গবেষণাগারই করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) উৎস, চিনের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে যখন সরব পশ্চিমী দেশগুলি, সেসময় আরও এক বিস্ফোরক দাবি শোনা গেল প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর (Mike Pompeo) গলায়। তাঁর দাবি, ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত চিনের সেনাবাহিনীও। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে পম্পেও বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেছেন, ”নিশ্চিতভাবেই বলছি, পিপলস লিবারেশন আর্মিও (PLA) ল্যাবরেটরির কাজে যুক্ত। তারা মুখে বলে, নাগরিকদের জন্য গবেষণার কাজ করে। তবে এর অন্দরে লালফৌজের গোপন কাজকর্ম হয়।”
চিনের (China) এই গবেষণাগার থেকেই মারণ করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা, তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। তবে অনেকেই এ বিষয়ে একমত। সম্প্রতি ব্রিটিশ ও নরওয়ের দুই বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁরাও এর প্রমাণ পেয়েছেন। এ নিয়ে চিনকে চাপে ফেলার প্রয়াস চলছে বিভিন্ন দেশে, বিশেষত আমেরিকার। এর যথাযথ প্রমাণ পেতে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে ইউহানের ল্যাব পরিদর্শন করে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রতিনিধিদল। তবে তাঁরা তেমন কোনও প্রমাণ পাননি বলেই খবর। কারণ, চিন গবেষণার মূল নথিপত্র হস্তান্তরে নারাজ। এই অবস্থায় চিনকে আরও একবার ভালভাবে তদন্তের কথা জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসন। ইউহান ল্যাবের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের জন্মসূত্র নিয়ে যখন এত আলোচনা, সমালোচনার ঝড়, ঠিক সেসময় প্রাক্তন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ইঙ্গিত করলেন চিনের সেনাবাহিনীর দিকে।
[আরও পড়ুন: ভারতীয়-ব্রিটেন স্ট্রেনের মিশ্রণে আরও ভয়াবহ ভাইরাস! করোনার নয়া প্রজাতি নিয়ে দাবি ভিয়েতনামের]
নানা গোপন কাজকর্মের জন্য সুবিদিত চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা লালফৌজ। দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এবং শত্রু দেশকে চাপে রাখার লক্ষ্যে এঁরা কী না করেন? করোনার উৎপত্তি নিয়ে যেমনটা আলোচনা চলছে, তাতে ইউহানের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে এই মারণ জীবাণু নিয়ে গবেষণা চালাতে গিয়েই বিপত্তি, সেখান থেকেই গোটা বিশ্বের সংক্রমণ ছড়িয়েছে – এই তত্বের সঙ্গে চিন সেনাবাহিনীর যোগ থাকার দাবি কতটা সত্য, কীভাবেই বা তা হতে পারে, এসব প্রশ্ন আসছে। মাইক পম্পেওর ইঙ্গিতও অবশ্য খানিকটা ধোঁয়াশার। তাহলে কি গবেষণাগার থেকে সুকৌশলে ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া লক্ষ্য লালফৌজের মস্তিষ্কপ্রসূত? এই অভিযোগই কি করতে চাইলেন পম্পেও? উঠছে হাজারও প্রশ্ন। তবে সেসবের আগে পম্পেওর এই বিস্ফোরক দাবি নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ।