সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখেনি কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। এরই প্রতিবাদে গত ৬ মার্চ থেকে ২১ দিনের আমরণ অনশন করছেন বিজ্ঞানী তথা পরিবেশ-মানবাধিকার কর্মী সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuck)। মঙ্গলবার ১৪ দিনে পড়ল তাঁর অনশন (Hunger Strike)।
সোশাল মিডিয়ায় ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর ‘র্যাঞ্চো’ ওয়াংচুক জানিয়েছেন, এক নয়। একাধিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে মোদি সরকার। যেমন, লাদাখের প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সম্পদকে রক্ষা করার যে আশ্বাস সরকার ২০১৯-’২০ সালে দিয়েছিল, তা তারা রাখেনি। সে বছরই কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দিয়েছিল। সেই সঙ্গে লাদাখের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার আশ্বাসও দিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: যতকাণ্ড যোগীরাজ্যে, সরকারি টাকা হাতাতে দিদির কপালেই সিঁদুর দিলেন ভাই!]
কিন্তু প্রায় চার বছরেরও বেশি সময় কেটে গেলেও কোনও কথাই কেন্দ্র রাখেনি বলে অভিযোগ। না দিয়েছে লাদাখকে পূর্ণ রাজ্যের স্বীকৃতি, না নেওয়া হয়েছে এখানকার পরিবেশরক্ষায় কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ। এরই প্রতিবাদে আমরণ অনশনে বসেছেন ওয়াংচুক। এই প্রতিবাদে তাঁর সঙ্গী হয়েছেন প্রায় আড়াইশো স্থানীয় বাসিন্দা। ওয়াংচুকের দাবি, তিনি মহাত্মা গান্ধীর পথ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সে কারণেই বেছে নিয়েছেন ‘২১ দিনের অনশন’।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে রামদেব, পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম তলব যোগগুরুকে]
ওয়াংচুক সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘‘সরকার বলে, ভারত গণতন্ত্রের জননী। অথচ সেই ভারতেই লাদাখবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। নয়াদিল্লি থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। চার বছর পরও সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। এটা বিশ্বাসভঙ্গের সমতুল।’’ লাদাখের স্থানীয়দের মতে, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও গত চার-পাঁচ বছরে তা নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সরকার। কাশ্মীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পরও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়নি লাদাখে। এবার স্থানীয়দের দাবি, আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃতি নয়, তাঁরা চান পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের তকমা। তার সঙ্গেই চান নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিজেদের বিধানসভা প্রতিষ্ঠা করা।