দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: শ্বশুরবাড়ি থেকে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির কোন্নগরে। মত্ত অবস্থায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামী সুজয় মিত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
[বীরভূমে ‘পাঁচন’ বিলি শুরু অনুব্রতর, কটাক্ষ বিজেপির]
কোন্নগরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিসি ঘোষাল লেনের বাসিন্দা পল্লবী মিত্র। সুজয় মিত্র নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর৷ বেসরকারি ব্যাংক কর্মী সুজয়৷ পল্লবী ও সুজয়ের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে৷ আপাতদৃষ্টিতে দু’জনের সম্পর্ক ছিল খুবই ভাল৷ শনিবার সন্ধেয় আচমকাই বদলে যায় পরিস্থিতি৷ মহিলার ছেলে বাড়ি ফিরে দেখে রক্তাক্ত অবস্থায় দোতলার ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন পল্লবী৷ চিৎকার শুনে নিচতলা থেকে উপরের ঘরে দৌঁড়ে যান পল্লবীর শাশুড়ি৷ পাশের ঘর থেকে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মৃতার স্বামী সুজয়৷ প্রতিবেশীরাও জড়ো হয়ে যান৷ খবর দেওয়া হয় পল্লবীর বাপেরবাড়িতেও৷ তড়িঘড়ি পল্লবীর শ্বশুরবাড়িতে আসেন তাঁর দাদা৷ ততক্ষণে মারা গিয়েছেন গৃহবধূ৷ মৃতার দাদা খবর দেন উত্তরপাড়া থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বছর পঁয়ত্রিশের ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে৷ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় পল্লবীর দেহ৷ পুলিশসূত্রে খবর, ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ লেগেছিল। গৃহবধূর মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভারী কোনও জিনিস কিংবা মেঝেতে মাথা ঠুকে খুন করা হয়েছে পল্লবীকে৷ আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা৷
[মাদারিহাটে দুধের শিশুর উপর হামলাকারী চিতাবাঘ শেষমেশ খাঁচাবন্দি]
পল্লবীর দাদার অভিযোগ, অত্যধিক মদ্যপান করত সুজয়। এই কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। বহুদিন ধরেই গন্ডগোল চলছিল। কারণে-অকারণে পল্লবীর উপর অকথ্য অত্যাচারও চলত। বহুবার পল্লবীর বাপেরবাড়ির তরফে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। যদিও পল্লবীর শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন৷ তাঁদের পালটা দাবি, পল্লবী-সুজয়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল ছিল৷ যথেষ্ট সুখী ছিল দু’জনেই৷ মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই স্বামী সুজয়কে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ মৃতার পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা৷
The post মদ্যপানের জেরে পারিবারিক অশান্তি, মেঝেতে মাথা ঠুকে স্ত্রীকে ’খুন’ স্বামীর appeared first on Sangbad Pratidin.